ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীর বন্দরবাজারে সিএনজি চালককের হামলায় নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন মওদুদ আহমেদ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। নিহত মওদুদ আহমেদ (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার টেংগুরিপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক, হরিপুর গ্যাস ফিল্ড শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নগরীর রাজারগলিতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শনিবার রাত ৮ টার দিকে কোর্টপয়েন্টে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর পর রাত পৌনে ৯টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে, শনিবার হরিপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশায় (সিলেট-থ-১২-৪২৭১) বন্দরবাজারে আসেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমেদ। সন্ধ্যা পৌন ৮টার দিকে কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে আসার পর সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে নোমানসহ আরো কয়েকজন সিএনজি অটোরিকশা চালক মিলে মওদুদ আহমেদকে মারধর করেন।
এ সময় মওদুদ গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান মুরাদ আহমেদ ও ইউনুছ আলী নামে দুই ব্যক্তি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই হাসপাতালে মারা যান মওদুদ আহমেদ।
সংবাদ পেয়ে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলেও এর আগেই ঘাতকরা পালিয়ে যায়।
এদিকে, নিহত মওদুদের বড়ভাই আব্দুল ওয়াদুদ বাদি হয়ে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান হাছনুর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ জানান, সিএনজি অটোরিকশা চালকদের মারপিটে ওই ব্যাংক কর্মকর্তা মারা গেছেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।