৮ আগস্ট ২০২২
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়ায় আহত ও অসুস্থ পশুপাখির সেবা এবং চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারটিতে ডাক্তার নেই দীর্ঘদিন থেকে। নেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জনবলও। মাত্র দুজন ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সদস্য ও একজন ফরেস্টার দিয়েই চলছে পশুপাখির সেবা ও চিকিৎসা। অভিযোগ রয়েছে, উদ্ধার হওয়া পশুপাখি মারা গেলে চিকিৎসার অভাবে মাটি চাপা দিয়ে বলা হয় অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্যমতে, লাউয়াছড়া উদ্যানে রয়েছে ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী, ৪ প্রজাতির উভয়চর, ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ ও ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী। এ বনের জীববৈচিত্র্য ধরে রাখতে ২০১৫ সালে জাতীয় উদ্যানের জানকি ছড়ায় স্টেদেনিং রিজিওনাল কো-অপারেশন ফর ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন প্রজেক্টের আওতায় নির্মাণ করা হয় রেসকিউ সেন্টার। এ সেন্টারে রয়েছে একটি পশুপাখি চিকিৎসা কেন্দ্র, দুটি বোর্ড ও ক্লোজারঘর।
শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সীতেশ দেব বলেন, ‘নামেই রয়েছে রেসকিউ সেন্টার। এখানে চিকিৎসকের অভাবে সঠিকভাবে আহত ও অসুস্থ পশুপাখির চিকিৎসা হয় না। অনেক সময় পশুপাখি মারা গেলেও অবমুক্ত করা হয়েছে বলে চালিয়ে দেয় বনবিভাগ।’
পশুপাখি ও পরিবেশ প্রেমী শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দা ইকবাল আহমদ বলেন, ‘জানকি ছড়ায় রেসকিউ সেন্টার শুধু নামেই রয়েছে। এখানে লোকবলের অভাবে আহত ও অসুস্থ পশুপাখির তেমন সেবা দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন সময় আহত পশুপাখি মরে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট সদস্য ঋষি বড়ুয়া ও নাজমুল হোসেন বলেন, ‘ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় আমরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে পারি না। এ কারণে অনেক সময় পশুপাখি মারা যায়।’
মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র বলেন, ‘এখানে পশুপাখি ধরার জন্য ক্লিফার নেই। অনেক ঝুঁকি নিয়ে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসকসহ কম পক্ষে আটজন লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে একজন ফরেস্টার ও দুজন স্কাউট সদস্য দিয়ে রেসকিউ সেন্টার চালানো হচ্ছে। গত ছয় মাসে এখানে চিকিৎসা ও সেবা দিয়ে ১৯৭টি পশুপাখি অবমুক্ত করা হয়েছে।’