২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাহুবলে নিখোঁজের ৯দিন পেরিয়ে গেলেও সন্ধান মিলেনি ৩ মাদ্রাসাছাত্রের। এতে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটছে তাদের স্বজনদের। মাদ্রাসা ছাত্রদের উদ্ধারের জন্য বাহুবল মডেল থানায় তাদের (ছাত্রদের) পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। নিখোঁজরা হল- বাহুবল উপজেলার উত্তরসুর গ্রামের হাফেজ আব্দুস শহিদের ছেলে জাকারিয়া মিয়া (১৩), নিজগাঁও গ্রামের পাকু মিয়ার ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ (১৪) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব কাটাখালী গ্রামের মৃত ফিরোজ আলীর ছেলে রাহিম উদ্দিন (১৪)।
তারা তিনজনই বাহুবল জামেয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর মাদ্রাসার ছাত্র। পুলিশ বলছে, তাদের উদ্ধারে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছেন।
জামেয়া মাহমুদিয়া হামিদনগর মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে তিনজনকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা ওইদিনই ৩ ছাত্রের পরিবারকে বিষয়টি জানাই।
জাকারিয়া, ওয়াহিদ ও রাহিমের অভিভাবকরা তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাদের কোন সন্ধান পাননি। ২২ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ জাকারিয়ার পিতা হাফেজ আব্দুস শহিদ, ওয়াহিদের পিতা পাকু মিয়া ও রাহিম উদ্দিনের বড় ভাই সাইদ আহমদ বাহুবল মডেল থানায় আলাদা আলাদা ৩টি জিডি এন্ট্রি করেন।
হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম বলেন, তিনজন ছাত্রই ব্যবহার ও লেখাপড়ায় খুব ভালো। যে কারণে কোনদিনও তাদেরকে ধমকও দিতে হয়নি। কিন্তু কেন বা কার প্ররোচনায় তারা পালিয়ে গেল সেটা বুঝতে পারছি না।
নিখোঁজ রাহিম উদ্দিনের বড়ভাই সাইদ আহমদ বলেন, আমার ছোট ভাই রাহিমসহ ৩ মাদ্রাসা ছাত্র আজ ৯ দির ধরে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধান বের করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে হন্য হয়ে ঘুরছি। কিন্তু কোন সন্ধান পাচ্ছি না।
বাহুবল মডেল থানার ওসি রকিবুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের কাছে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। ফুটেজে দেখা যায় নিখোঁজ তিন শিক্ষার্থী একটি ট্রেনে ওঠে ঢাকামুখী চলে গেছে। তাদের সাথে আর কোন লোক ছিল না। তাই ধারণা করা হচ্ছে তারা সেচ্চায়ই পালিয়ে গেছে। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি।