২১ নভেম্বর ২০২২


ধলাই সুন্দরীকে দিয়ে ‘সালামী’ আদায় !

শেয়ার করুন

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : ধলাই সুন্দরীকে দেখা গেল রাস্তার অলি-গলিতে সেলামি পাবার আশায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াতে।সেলামির পাবার আশায় জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার অলিতে গলিতে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও বাসাবাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা। হাতির মাহুত চাঁদা তুলছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ তুলেন। আবার নিজের ইচ্ছায় খুশি হয়ে, আনন্দ পেতেই টাকা ও খাবার দিচ্ছেন বলেও জানান এলাকাবাসী।

মৌলভীবাজার জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌমোহনা চত্বরে দেখা মেলে পোষা হাতি ধলাই সুন্দরী ও তার সন্তান মহুয়ার।

পোষা হাতি ধলাই সুন্দরীর মাহুত সেলিম মিয়া বলেন, সালাম দিয়ে সাহায্য চাইছি। খেলা দেখানো এখন বন্ধ থাকায় হাতি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। হাতিকে খাওয়ানোর জন্য সাহায্য চাইতে এসেছি। মানুষজন যা দিচ্ছেন তাই নিচ্ছি।

সরজমিনে দেখা যায়, দুটি হাতি একটি প্রাপ্ত বয়স্ক, অন্যটি বাচ্চা। এগুলোকে কেউ টাকা, কেউ আবার খাবার হিসেবে ফলমূল দিচ্ছেন। সেই খাবার হাতি শুঁড় দিয়ে তা গ্রহণ করে খাচ্ছে, আবার কেউ টাকা দিলে হাতি শুঁড় দিয়ে গ্রহণ করে মাহুতকে সেই টাকা দিয়ে দিচ্ছে।

কোটরোড এলাকার ফল ব্যবসায়ী বাসিত মিয়া বলেন, কেবল দোকানে এসে বসেছি। ঠিক তখনই হাতি এসে দোকানের সামনে হাজির। দুটি হাতিকে আনারস ও আপেল দিলাম, তারা খেয়েছে।

সেন্ট্রালরোডের দোকান কর্মচারী সুমন, রাজন ও রনি জানান, টাকা নেই বলার পরও হাতি যাচ্ছে না। শুঁড় উপর তুলে সালাম দিচ্ছে। যখন আমরা ১০ টাকা করে দিয়েছি, তা নিয়ে তারা ফিরে যায়।

চাঁদনীঘাট এলাকার আমজাদ আলী বলেন, হাতির মাহুত সেলামির নাম করে কৌশলে মানুষজনের কাছ থেকে চাঁদ আদায় করছেন। আমি ১০ দশ টাকা দিয়েছিলাম, মাহুত ৫০ টাকা দাবি করে, পরে ২০ টাকা দিলাম।

আরেক হাতির মাহুত শামিম মিয়া বলেন, আমরা তো চাঁদা চাই না, চুরিও করছি না। শেরপুর থেকে এসেছি কুলাউড়ায় যাব বলে। যাবার পথে হাটবাজার, রাস্তাঘাটে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মানুষকে হাতি দেখিয়ে খুশি করছি। আর হাতির খাবারের জন্য টাকা নিচ্ছি। এতে দোষের কী?

শেয়ার করুন