৮ জানুয়ারি ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকার ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, সে দেশের ডেমোক্রেসি খুবই দুর্বল। আর রিপাবলিকানরা মনে করে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ওয়াজ অ্যা ফ্রড ইলেকশন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো লুকোচুরি হয় না, চাইলে যেকোনো দেশ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
রোববার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপন উদ্বোধন শেষে এমনটিই বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইসের বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের নিজেদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, তাদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি মানায় না। আমেরিকায় ১৩-১৪ বারে হলো স্পিকার, এই ধরনের ঝামেলা তো আমাদের হয় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেও কিছু লোক এ ধরনের আছে। ওই দেশে (আমেরিকা) গড়ে ৫০ শতাংশের নিচে লোকজন ভোট দেয়, আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০ ও ৯০ ভাগ লোক ভোট দেয়।
গাইবান্ধার নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন খুবই অংশগ্রহণমূলক, স্বতঃস্ফূর্ত ও আনন্দময়। ওইসব দেশে একমাস আগে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। আর আমাদের দেশে এক বছর আগে থেকেই প্রচারণা চালানো হয়।
মোমেন বলেন, এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার দিয়ে। যখন আওয়ামী লীগ সরকার সিংহভাগ আসন পেল, তখন তাদের সরকার গঠন করতে দিল না। এরপর আন্দোলন হলো, পরে জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ায় আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলাম। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নীতিগুলো আছে। তাই অন্যদের আমাদের নিয়ে মাতব্বরি করার বা পরামর্শ দেওয়ার দরকার নেই। তারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে স্বচ্ছ, সুন্দর, নির্ভুল ও ইনক্সক্লুসিভ। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই আমরা। আমার দল বিশ্বাস করে। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি, তাকে দেবো- এটিই আমাদের স্লোগান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেছে। কোনোদিন মিলিটারি দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। সুতরাং ওই সম্পর্কে যারা সন্দেহ করেন, তাদের ইতিহাস, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের অভাব। আমি আশা করব, তারা আওয়ামী লীগের ইতিহাস পড়বেন, অযথা মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।
সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।