শাবি প্রতিনিধিঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্র ধর্মঘট সফলে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে এক নারী নেতৃসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়নবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলেনে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার প্রতিবাদের অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ব্যানার ঝুলিয়ে অবস্থান নেন জোটের নেতারা। ফটকে অবস্থান নেয়ার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কোনো বাস চলাচল করতে পারেনি। এসময় ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীদের হেটে হেটে চলাচল করতে দেখা যায়। বেলা এগারোটার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিকুর রহমান ভুঁইয়ার নেতৃত্বে তার সমর্থকরা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির দোহাই দিয়ে ছাত্রজোটের অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালান।
শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহŸায়ক প্রসেনজিত রুদ্র জানান, ছাত্রলীগের নেতাকমীদের হামলায় তিনিসহ সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল আযিম বিশ্বাস, সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবায়েত আহমেদ, কমিটি সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, মইনুদ্দিন মিয়া, এমকে মুনিম, কর্মী জয়দ্বীপ দাশ, রশিদ ইফাজ, আব্দুল্লাহ হেল কাফি, নাইম আশরাফ আদিব আহত হন।
এ বিষয়ে মুশফিকুর রহমান জিয়া বলেন, আন্দোলনের নামে ক্যাম্পাসের মেইন ফটকে তালা দিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরিক্ষায় অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে এবং অনেক শিক্ষার্থীকে মেইন ফটকে আটকে রাখে। আমাকে ও ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেয় তখন আমি তাদের গেইট খুলে দিতে অনুরোধ করি কিন্তু তারা উল্টো আমার উপর চড়াও হয়। তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আমি গেইট খুলে দেই। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এতে সাব্বির আহমেদ নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যপারটি খুবই দুঃখজনক। আমরা খবর পেয়ে সেখানে যাই। বিস্তারিত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দায় অস্বীকার ছাত্রলীগেরঃ
হামলার ঘটনায় তড়িঘড়ি সংবাদ সম্মেলন করে দায় অস্বীকার করেছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম সহ তাদের সমর্থিত নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের কেউ না সভাপতির এ বক্তব্যে মুশফিকুর রহমান জিয়া বলেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে গণমাধ্যমে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দু একজন সভাপতি বাদে অন্য কারো সাথে তার যোগাযোগ নেই বিষয়টি তাই উপস্থাপন করে।
এ বিষয়ে মুশফিকুর রহমান জিয়া আরো বলেন, আমি ১ম বর্ষ ২০০৯ থেকে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। ২০১২ সালে ক্যাম্পাস শিবির মুক্ত করতে সামনে থেকে লড়াই করেছি। বর্তমানে শাবি ছাত্রলীগের সবচেয়ে বড় একটা অশের নেতৃত্ব দিচ্ছি। বর্তমান শাবিপ্রবির ছাত্রলীগ কমিটির প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের কমিটিতে আমিসহ আমার অনুসারীদের বঞ্চিত করে ছাত্রদল শিবির দিয়ে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে।