২২ জানুয়ারি ২০২৩


সিলেট -সুলতানপুর সড়কে ট্রাকের ধাক্কার নিহতদের দাফন সম্পন্ন

শেয়ার করুন

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেট -সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কে শুক্রবার বিকেলে মাটিবাহি ট্রাকের ধাক্কায় গহরপুর থেকে সিলেটগামী সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ নিহত ৩ জনের পৃথক পৃথক নামাজে জানাজা শেষে শনিবার স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

আহত আরো ৩ জন সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোগলা বাজার থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

শনিবার বেলা ২ টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত ৩ জনের ময়নাতদন্ত শেষে নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এসময় নিহতদের স্ত্রী, সন্তান স্বজনদের মাতমে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। তিন জনের পরিবারেই চলছে শোকের মাতম।

জানা যায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার সময়
সিলেট -সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সিলাম ইউনিয়নের বটরতল নামক স্থানে মাটিবাহি একটি ট্রাকের ধাক্কায় বালাগঞ্জের গহরপুর থেকে সিলেটগামী সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায় প্রত্যক্ষাদর্শীরা সিএনজি অটোরিকশা যাত্রীদের গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সিএনজি অটোরিকশা যাত্রী বালাগঞ্জ উপজেলার কলুমা গ্রামের আমজাদ আলীর পুত্র আনহার মিয়া (৪০) তিনি ২ পুত্র ১ কন্যা সন্তানের জনক।হাসপাতালে যাওয়ার পর মারা যান একই উপজেলার চর আলাপুর গ্রামের হুরমত উল্লাহর পুত্র অটোরিকশা চালক বাবুল মিয়া (৫৫) তিনি ৫ পুত্র ২ কন্যা সন্তানের জনক রাত ৮ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রহমত পুর (আয়না মার্কেট) গ্রামের মলিক মিয়ার পুত্র রেজাউল হক (১৯) তিনি পর্তুগাল যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। আহত আরো ৩ জন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার বাদ আছর রেজাউল হক ও আনহার মিয়ার নিজ নিজ গ্রামে পৃথক পৃথক নামাজে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

বাদ মাগরিব স্থানীয় হযরত শাহ সুলতান মাদরাসা প্রাঙ্গনে অটোরিকশা চালক বাবুল মিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর,ভাইস চেয়ারম্যান সামছ উদ্দিন সামস সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আনহার মিয়া ও সিএনজি অটোরিকশা চালক বাবুল মিয়া ছিলেন আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তাঁরাই ছিলেন তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। হঠাৎ করে পরিবারের কাণ্ডারিকে হারিয়ে ভবিষ্যতের চিন্তায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ২ পরিবারের সদস্যরা।

শেয়ার করুন