৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ছাবিটি ক্যামেরাবন্দী করেছেন আজকের সিলেট ডটকমের নিজস্ব আলোকচিত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাটে জেলা পরিষদের চার একর ভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। জেলা পরিষদের একটি মার্কেট নির্মানের লক্ষ্যে ভূমিটি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর অবৈধ দখলে থাকার পর রোববার সকালে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা মুক্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চেঙ্গের খাল নদীর তীরবর্তী বাদাঘাট নামক বাজার সংলগ্ন জেলা পরিষদের মালিকানাধীন চার একর ভূমি রয়েছে। যা বর্তমান কেন্দ্রীয় কারগার ও বাদাঘাট সেতুর পশ্চিম-দক্ষিণে। এই স্থানে রয়েছে বাদাঘাট বাজার মসজিদও।
জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর পূর্বে জেলা পরিষদের এ জায়গা একসনা লিজ দেওয়া হয়েছিল। লিজ অনুসারে এক বছর পর জায়গা জেলা পরিষদের আওতায় চলে আসার কথা ছিল। কিন্তু যারা লিজ নিয়েছিলেন, তারা জায়গার দখল ছাড়েননি এবং লিজ নবায়নও করেননি। উপরন্তু বাদাঘাট ব্রীজ ও কেন্দ্র্রীয় কারাগার নির্মিত হওয়ার পর তারা দোকান লিজ দিয়ে ভোগ ব্যবহার করতে শুরু করেন।
এভাবে দেড় যুগেরও বেশি ধরে সেখানে অবৈধভাবে স্থায়ী দোকানপাট করে ব্যবসা করে আসছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এবং দোকানগুলোর বেআইনী ভাড়া গ্রহণ করে আসছিলেন একসনা লীজ গ্রহীতা পক্ষ। অভিযোগ রয়েছে, জনৈক সাবেক মেম্বার নূরুল ইসলাম বাদাঘাট মসজিদের স্বঘোষিত মুতাওয়াল্লি হয়ে মসজিদ মার্কেটের নামে ভূমিতে দোকান বসিয়ে ভোগশাসন ও ভোগ ব্যবহার করে আসছিলেন। দোকানীরাও নূরুলকে মালিকানা ভাড়া (লিজ মানি) দিয়ে স্থাপনা নির্মান করে ব্যবসা করে আসছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাদাঘাট বাজারের ওই জায়গায় স্থায়ীভাবে জেলা পরিষদের একটি মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে সম্প্রতি পরিষদের মাসিক সভায় আলোচনা হয়। সভায় সিদ্ধান্তক্রমে তথায় মার্কেট নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হয়। মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এর অনুমোদনও দিয়েছে।
এ লক্ষ্যে কিছুদিন পূর্বে দখলকার ব্যবসায়ীদেরকে দোকানপাট সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পেয়েও অনেকে দোকান সরিয়ে না নেওয়ায় রোববার সকালে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পূর্বে দোকানীরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিলে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ স্থাপনাসমূহ গুড়িয়ে জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযানকালে মসজিদ বাদ দিয়ে প্রায় ৭০ টি অবৈধ দোকান ভেঙ্গে ফেলা হয়।অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ পলাশ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুদ্বীপ কুমার সিংহ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমেদ ও সূর্যসেন রায়, সার্ভেয়ার মফিজুর রহমান, সাঁটলিপিকার এ কে এম কামরুজ্জামান মাসুমসহ এসএমপি’র জালালাবাদ থানার একদল পলিশ ।