৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজকের সিলেট ডেস্ক : বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মালয়েশিয়ার নতুন সরকার আসায় দেশটিতে কর্মী পাঠানো প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে । তিনি বলেন, এ সরকার কিন্তু নতুন সরকার। আগের সরকারের সঙ্গে আমাদের যা কথা হয়েছে, এখন কিন্তু বিরাট একটা পরিবর্তন আসবে। এ জিনিসটা তিনি (মালয়েশিয়ার মন্ত্রী) আশ্বস্ত করেছেন। এমওইউ পরিবর্তন করার কথা আসছে। প্রয়োজন হলে আরও কিছু পরিবর্তন আসবে, যাতে আরও বেশি সহজ হয়ে যায়।’
রোববার ইস্কাটন গার্ডেনে সাংবাদিকদের সামনে ব্রিফিংকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এসব কথা বলেন। রিক্যালিব্রেশন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী জানান, রিক্যালিব্রেশনে ওনারা কোনো জাত বিচার করবে না। যারা আছে ওখানে ওনারা যদি এপ্লাই করে ফিস দিয়ে, তারা তাদের লিগ্যাল করে নেবে। এছাড়া ২০১৬ তে রিহিয়ারিং স্কিম ছিল, ওটা পাঁচ বছরের ছিল। ওটার ডেট এক্সপায়ার্ড হয়ে গেছে তারাও রিক্যালিব্রেশন হতে পারবে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস দিয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন বলেন, আমরা অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে চাই। আগামী দিনে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবে। আমরা আগের করা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। প্রতিনিধিরা যাচাই-বাছাই করবেন যে এমওইউতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কিনা? আজকের আলোচনার একটা বড় অংশই ছিল এই চুক্তি। মালয়েশিয়া সরকার এ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায় যেন মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
মালয়েশিয়ান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম নিয়ে আলোচনা হবে। মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী আছেন। তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধ করা হচ্ছে। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে এই প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহে বৈধকরণের যা অনুমোদন আমরা দিয়েছি তার ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি।
সাইফুদ্দিন বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা করা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, আমরা পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আমরা আলোচনায় বসব।
দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে জানিয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ায় বর্তমানে ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী আছে। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি কর্মী। সেই কারণেই বাংলাদেশ ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে আছে।