৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
আজকের সিলেট ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন ঢাকা-সিলেট ফোরলেন মহাসড়কে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে । বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের লট নং-ডিএস-৫ এর চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানের চার লেন সড়কের নির্মাণ মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পুরো প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০৯ কিলোমিটার। এতে খরচ হবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী মাহবুবর আলী, এডিবির ক্যান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং, সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক একেএম ফজলুল করিমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি শুরুতেই ফোর লেন হওয়া উচিত ছিল। কেন যে দুই লেন হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণে এসব ভুল করা উচিত নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফোর লেন দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে, এই ফোর লেন করে লাভ কী? ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই বছর পরে সংস্কার করতে হচ্ছে। এ জন্য আবার আলাদা প্রকল্প নিতে হচ্ছে। নবীনগর-চন্দ্রা ফোর লেন সড়ক এক বছর না যেতেই ছেঁড়া কাঁথার মতো জোড়াতালি অবস্থা! কোয়ালিটির বিষয়ে প্রথমে নজর দিতে হবে। আমাদের রাস্তাগুলো রক্ষা করতে হবে।’
সড়ক ও জনপদের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলীর প্রধান কাজ ‘সড়ক রক্ষা’– তাকে এটা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা তাকে করতে হবে। এক্সেল লোড কন্ট্রোল মেশিন স্থাপন করতে হবে। নবীনগর-চন্দ্রার একেবারে বেহাল অবস্থা। আমি যা দেখছি তাই বলছি। এসব নিয়ে দরকার হয় সেমিনার করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট রাস্তা দরকার। নতুন সড়ক দরকার নেই, বিদ্যমান সড়ক স্মার্ট করতে হবে।’
২৮টি লোড কন্ট্রোল স্টেশন হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কবে হবে কেউ জানে না। আমরা রাস্তাগুলো রক্ষা করতে পারছি না। রাস্তা রক্ষা করতে যা দরকার তা করতে হবে। ২৮টি এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করতে হবে।’
ঢাকা-সিলেট ফোর লেন সড়কে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এডিবি ও সরকার মিলে কাজটা করছি। এখানে এডিবির ঋণ ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ভালো ঠিকাদার এই কাজ পেয়েছে, সময় মতো শেষ করবে বলে আশা করি।’