২০ মার্চ ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান বলেন, যারা গৃহ ও ভূমিহীন তাদেরকে যাচাই বাঁচাইয়ের মাধ্যমে তালিকা করে তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া হচ্ছে। উপজেলার নির্বাহী অফিসার এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে যাচাই বাঁচাই করে এসব ঘর দেয়া হচ্ছে। যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে যোগাযোগ করার কথা বলেন।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে সংবাদে সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলেন, বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগামি ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখ বুধবার ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট এবং ৪র্থ পর্যায়ের নির্ধারিত গৃহসমূহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট জমিসহ হস্তান্তর কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন (ভার্চুয়াল) করার সময় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
তিনি বলেন, এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১০০টি উপকারভোগী পরিবারেরর মধ্যে জমিসহ গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন হতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত হবেন। একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত” ঘোষণা করবেন। এ পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট জেলার সকল উপজেলা মিলিয়ে সর্বমোট ৬০৬ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ গৃহ প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলায় মোট গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের সংখ্যা ৫৫৬৩ টি। তন্মধ্যে সর্বমোট ৫৪৫৩ টি গৃহ নির্মানের বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায় মিলিয়ে সর্বমোট ৪৪৭৮ টি গৃহ নির্মাণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকী ১০৮৫ টি গৃহের মধ্যে ৯৭৫ টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। অবশিষ্ট ১১০ টি গৃহের বরাদ্দ প্রাপ্তির চাহিদা শীঘ্রই প্রেরণ করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সিলেট জেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্তিত ছিলেন।