২১ মার্চ ২০২৩
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ জেলার ছাতকে ১৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে ১টি করে ল্যাপটপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ল্যাপটপ বিনামূল্যে বিতরণের কথা থাকলেও পরিবহন খরচের কথা বলে ল্যাপটপ প্রতি ২শ’ টাকা করে শিক্ষকদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম মিয়ার নির্দেশে শিক্ষকদের কাছ থেকে এ বাবদ প্রায় ২৮হাজার টাকার আদায় করে নেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ মার্চ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ১৪৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে বিদ্যালয়ের নামে ১টি করে ল্যাপটপ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় প্রতি ল্যাপটপের বিপরীতে ২শ’ টাকা করে আদায় করা হয়। ল্যাপটপপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষকদের অনেকেই তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন।
শিক্ষা কার্যালয়ের কর্তাব্যক্তির বিরাগভাজন হওয়ার ভয়ে তারা তাদের নাম প্রকাশ না করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন । প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ এবং ডিজিটাল পাঠদানের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে ল্যাপটপ বিতরণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ ও শ্রেণীকক্ষে শিখন শেখানো কাজে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপনে ব্যবহারের জন্য দেশের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তৃতীয় পর্যায়ে ১৪৩টি ল্যাপটপ ছাতকে বিতরণ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ল্যাপটপগুলো বিতরণ করার কথা থাকলে অনুষ্ঠান ছাড়াই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে ইতোমধ্যে ১৪০টি বিদ্যালয়ের ল্যাপটপগুলো বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রতি ল্যাপটপের পরিবহণ খরচ বাবদ ২শ’ টাকা করে দাযিত্বশীলদের কাছ থেকে আদায় করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের অফিস সহকারী বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন,পরিবহণ খরচ পাওয়া যায় না বিধায় শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে ২শ টাকা করে রাখা হয়েছে।’ এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম মিয়া বলেন,ল্যাপটপগুলো সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের ১০ হাজার টাকার মতো পরিবহণ খরচ হয়েছে। সরকারিভাবে কোনো পরিবহন খরচ দেয়া হয়নি। তাই ২শ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সবাই যে টাকা দেয় তা নয়; কিছু মিসিংও হয়।’ সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান বিসয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘এখনও পরিবহন খরচ পাওয়া যায়নি। পরে হয়তো দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক খরচ মেটানোর জন্য হয়তো এখন শিক্ষকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে। পরিবহন খরচ বরাদ্দ পাওয়া গেলে শিক্ষকদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।’