১৬ মে ২০২৩


অল্প বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতা : বিপাকে পথচারিরা

শেয়ার করুন

জনি শর্মা : অল্প বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। নগরীর জিন্দাবাজার, জল্লারপাড়, বারুতখানা, হাওয়াপাড়া, দরগাগেট, চৌহাট্টা, লোহারপাড়া, পায়রা, লামাবাজার, সোবহানীঘাট, তালতলা, ঘাসিটুলাসহ অর্ধশতাধিক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে ক্ষুব্ধ নগরবাসী।

মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেল ৪টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টার বৃষ্টিপাতে সিলেট মহানগরীর ভিবিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী’রা বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন এর জন্য এমন জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েন নগরের নিচু এলাকার মানুষ। ভোগান্তি কম ছিল না পথচারী ও ব্যবসায়ীদের।

সিলেট নগরবাসীর অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। অল্প বৃষ্টিতেই এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। এর কারণে ময়লা-অবর্জনার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাসা-বাড়ি ও রাস্তাঘাটে যত্রতত্র ভেসে উঠে আবর্জনার স্তুপ। সামনেই বর্ষার মৌসুম। অথচ বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতার আতঙ্কে নগরবাসী। গ্রীস্মকালীন অল্প বৃষ্টিতেও এমন রূপ এখন ভীতি চড়াচ্ছে নগরজুড়ে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গেল ১৪ বছরে প্রকল্প হয়েছে ৪ টি। এর মধ্যে তিন প্রকল্পে সরকার বরাদ্ধ দেয় ১১ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে এই প্রকল্পের আওতায় নগরীর ছড়াগুলো উদ্ধার কার্যক্রম চালায় সিটি করপোরেশন। এরপর ২০১৩ সালে একই লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয় ২০ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প। এরপর ২০১৬ সালে নেওয়া হয় ২৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার প্রকল্প। এর মধ্যে এই ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। তবে নগরীর সছেতন মহলের নাগরিক’রা বলছেন, সিসিকের নির্ধারিত অ্যাকশন প্ল্যান না থাকায় প্রকল্পগুলো থেকে দৃশ্যমান অগ্রগতি চোখে পরেনি। যার ফলে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে বরং কমেনি।

২০২০ সালের ডিসেম্বেরে জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। এখন প্রশ্ন উঠেছে একযুগ ধরে এত প্রকল্প, এত বরাদ্ধ স্বত্বেও কি পেল নগরবাসী? তারা না জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেয়েছে, না বন্যার গ্রাস থেকে মুক্তির সম্ভাবনা দেখতে পেরেছে। সব মিলিয়ে আসন্ন বর্ষার আগেই শঙ্কায় সিলেট নগরবাসী।

নগরীর সোবহানী ঘাট এলাকার বাসিন্দা শিপন বলেন শহরের অধিকাংশ ড্রেনের কাজ অর্ধসম্পন্ন। কাজ চলছে ধীরগতিতে। তাই বৃষ্টি হলেই পানি নামতে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক নালা, নর্দমা ও ছড়া ভরাট হয়ে গেছে। পানি সহজে নামতে পারে না। নগরীর চালিবন্দর এলাকার বাসিন্দা দীলিপ চক্রবর্তী বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সোবহানী ঘাট পয়ন্টে রাস্তার উপর প্রায় হটু পর্যন্ত পানি জমে। এতে স্থানীয় লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সোবহানী ঘাট পয়ন্টে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অথচ এর কোনো সমাধান সিটি করপোরেশন করছে না। এ অবস্থায় স্থানীয় মানুষের ভোগান্তি দূর হচ্ছে না।

শেয়ার করুন