নিজস্ব প্রতিবেদক :  সিলেটে সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে শাসকদল আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন সরকার দলের প্রধান সহযোগী জাতীয়পার্টির (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইল ইসলাম বাবুল । পাশপাশি তিনি সিলেটে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণেরও অভিযোগে তুলেন। এ সব বিষয়ের প্রতিকার না পেলে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হুশিয়ারী দেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে জাপা’ মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল অভিযাগ করে বলেন, মঙ্গলবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ কয়েক শত নেতাকর্মীরা শোডাউন করে প্রকাশ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করেছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও ইলেক্ট্রটনিকমিডিয়ায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শাসকদলীয় নৌকার প্রার্থীর ব্যাপক আচরণবিধি লংঘনের শংকা প্রকাশ করে নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, মনোনয়ন দাখিলের সময় আচরণবিধি ভঙ্গ ও প্রতিকার না নেওয়ার ঘটনাই প্রমাণ দিচ্ছে যে, সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। নির্বাচনকালীন সময় এবং নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সরকার দলীয় প্রার্থীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে থাকবে। এমনটি হলে সিসিক নির্বাচন আদৌ সুষ্ঠ হবে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে নির্বাচন নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বাবুল গণমাধ্যমকে জানান, সরকার দলীয় প্রার্থীর আচরণবিধি ভঙ্গের পরেও নির্বাচন কমিশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এতে করে প্রমাণিত হচ্ছে কমিশন নিরপেক্ষ নয়। আমি নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য সিলেট নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন-জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আমি কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হলে শুধু সিলেট নয় জাতীয়ভাবে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান মেয়রপ্রার্থী এই জাপা নেতা।

জাপার মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের এহেন হুশিয়ারীতে সিসিক নির্বাচন নিয়ে নতুন করে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুশিয়ারীতে র্নিধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়েও সংশয় দেখা দিতে পারে।