২৬ মে ২০২৩


হাওরের সৌন্দর্য্য ‘ঢুল-কলমী’

শেয়ার করুন

অমৃত জ্যোতি, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) থেকে : সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার প্রায় সকল হাওরেই দোলছে ঢুল কলমী গাছ। ফুটছে বাহারী ফুল। গৃষ্মের হাওয়ায়,রৌদ্রময় দিনকে করে তুলে আরো সুন্দর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই হাওরের উঁচু ভূমিতে সবুজ এই তৃণের দেখা মিলে। হাওরাঞ্চলে উজারু নামে খুব পরিচিত। শহরের তুলনায় হাওরাঞ্চলেই এগুলোর বেশ চোখে পরে।

যেমন সৌন্দর্য্যে অতুলনীয়,তেমনী প্রতিটি কৃষক পরিবারের রান্নার কাজে জ্বালানী হিসেবেও এখনো রেখে আসছে যথেষ্ট ভুমিকা।

এছাড়াও মেঠো বসত ঘরের বেড়াতে বা বেষ্টনী দিতে ব্যাবহৃত হতো এই উজারু বা ঢুল কলমী।ভরা বর্ষার মৌসুমে তীরবর্তী বাড়ি আঙ্গিনা রক্ষায় বাঁধে ফেলে আফাল বা ঢেউয়ের কবল থেকে রক্ষা হতো বাড়ি ঘর।

স্থানীয় লেখক ডাঃ অরুণ কুমার সামন্ত বলেন, আমার জানামতে উজারু নামীয় ঢুল কলমী এটি এরশাদ আমলেই দেখা গেছে। আগে বিভিন্ন প্রজাতিরবন, খাগ, বিন্ন্যা, বনতুলসী,হেগড়া,বল্লুয়া সহ নাম না জানা অসংখ্য প্রজাতি প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে। তবে এখনো এই ঢুল কলমীই চোখে পড়ে।

তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক দিকে জানিনা কতোটুকু উপকারী তবে কৃষক পরিবারে লাকড়ি (জ্বালানী), মুইট্টা দেয়া (গোবরে তৈরী), বাড়ী বাঁধ দিয়ে ঢেউয়ের কবল থকে রক্ষা পায় হাওর বাসী। এবং বর্ষার ভাসা পানিতে ঝড়ের কবলে পড়া নৌযানে ভরসার পাত্র হিসেবেও করে সহযোগিতা। তাছাড়া হাওরাঞ্চলে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলার জন্য রয়েছে গ্রামের মেঠো রাস্তা। তার দুদিকে সবুজ ঢুল কলমী বা উজারু’র সাদায় হালকা বেগুনী আচের ফুল গুলি নজর কারে পথচারীদের।রোদ মাখা সকাল বিকেলের হাওয়ায় ঢুল কলমীর ফুল পাতা ও বীজ নিয়ে দোলানো বেশ চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও শিশু কিশোররা অতি সহজে হাতের কাছে পাওয়া একমাত্র নরম ফুলের নাম ঢুল কলমী বা সজারু গাছের বাহারী ফুল।

শেয়ার করুন