৭ জুন ২০২৩


ব্যানার পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরী

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট সিটি নির্বাচনের ভোটের দিন যতোই এগিয়ে আসছে তত বাড়ছে উত্তাপ। নগরীর অলিগলি ছেয়ে গেছে ব্যানার আর পোস্টারে। ভোট প্রার্থনায় পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে উঠান বৈঠক, সভাসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন প্রার্থীরা। ভোট পেতে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সকাল থেকে দিনভর গণসংযোগে ব্যস্ত থাকছেন তারা। মহানগরের ৪২টি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট ও অলিগলি ছেয়ে গেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যানার ও পোস্টারে। শুধু তাই নয়, পাড়া-মহল্লায় তাদের সমর্থনে চলছে মাইকিং। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট চেয়ে চলছে মাইকিং। এক প্রার্থীর প্রচার গাড়ি না যেতেই হাজির হচ্ছে আরেক প্রার্থীর প্রচার মাইক।

সরেজমিনে কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের থেকে প্রধান সড়কসহ প্রতিটি অলিগলিতে পোস্টার-ব্যানার লাগানো শুরু হয়। পোস্টার-ব্যানার প্রার্থীদের পরিচয় যেমন তুলে ধরছে। তেমনি নগরজুড়ে নির্বাচনের আবহ সৃষ্টি করেছে। দড়ি দিয়ে পোস্টার বেঁধে তা ঝুলানো হয়েছে রাস্তার ওপর। আবার নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রার্থীদের সাদা-কালো ব্যানার লাগানো হয়েছে রাস্তার পাশে। লেমিনেটিং করা হয়েছে ঝুলন্ত পোস্টারগুলো। এর ফলে বৃষ্টির পানিতেও নষ্ট হবে না পোস্টারগুলো।

এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থী। এই তিন প্রার্থীর অনুসারীরা প্রতীক বরাদ্দের পরই নগরজুড়ে পোস্টার সাটিয়েছেন। অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর পোস্টার-ব্যানারের দেখা মেলেনি।

এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে মেয়র পদপ্রার্থীসহ কাউন্সিলর প্রার্থী পোস্টার সাটিয়েছেন। আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাত পাতা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলের (লাঙ্গল) পোস্টার-ব্যানারই দৃষ্টি কাড়লেও জাকের পার্টির মো: জহিরুল আলম (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো: আব্দুল হানিফ কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুর নুর তালুকদার, মৌলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা ও মো: শাহ জাহান মিয়ার ব্যানার পোস্টার চোখে পড়ছে না।

এছাড়া মহানগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে সকল কাউন্সিলর প্রার্থীই অলিগলিতে ব্যানার-পোস্টার সাটিয়েছেন। এতে পুরো নগরী সাদা-কালো ব্যানার আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এর ফলে রাস্তা-ঘাটে নতুন করে পোস্টার সাটানোর জয়গা খুঁজে পাওয়াটা এখন দুস্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভোটাররা বলছেন, পোস্টারে থাকা অনেকেই প্রার্থীই ভোটারদের কাছে অপরিচিত। ছবিতেই তাদের প্রথম দেখা যাচ্ছে। তবে পোস্টার-ব্যানার নয়, যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দিবেন, এমনটিই দাবি ভোটারদের। এদিকে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার খবর না পাওয়া গেলেও, মোটরসাইকেল মহড়া দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ রয়েছে। তবে নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনিক নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেইসঙ্গে নির্বাচনী বিধি মেনে চলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২১ জুন ইভিএমে সিলেট সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

শেয়ার করুন