Ajker Sylhet.Com

  • প্রচ্ছদ
  • সিলেটজুড়ে
  • মহানগর
  • এক্সক্লুসিভ
  • শীর্ষ সংবাদ
  • রাজনীতি
  • আরো
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • বিনোদন
    • ক্রীড়াঙ্গণ
    • শিক্ষাঙ্গন
    • গণমাধ্যম
    • প্রবাস জীবন
    • মুক্তমত
    • অর্থনীতি
    • তথ্য-প্রযুক্তি
    • ধর্ম ও জীবন
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাহিত্য
  • চাকুরীর খবর
প্রধান সংবাদ
  • কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
  • সিলেটে কমবে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • গোয়াইনঘাটে ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা
  • ইলিয়াসপত্নীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি
  • বিছনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় গরুর চালান জব্দ
  • সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
  • বিসিক বর্জ্যে দুর্গন্ধ, বাড়ছে রোগ-বালাই
You Are Here: Home » জাতীয় » যেসব কারণে বাংলাদেশে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স টেকে না

যেসব কারণে বাংলাদেশে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স টেকে না

আজকের সিলেট ডেস্ক : বাংলাদেশে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করে ১৯৯৭ সালে। এরপর মোট ১২টি প্রাইভেট এয়ার লাইন্স এলেও টিকে আছে মাত্র তিনটি। ২০ বছরের এই পথচলায় বেসরকারি খাতে বিমান পরিচালনায় অর্জন কতটুকু?

নেপালে বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ার লাইন্সের সক্ষমতা এবং যাত্রীসেবা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ার লাইন্সগুলো কেন একের পর এক ঝরে পড়ছে?

বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে বড় প্রাইভেট এয়ার লাইন ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্স। আর বাকি দু’টি হলো নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ার। ইউএস-বাংলা’র এখন আটটি অভ্যন্তরীণ এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে বিমান রয়েছে। নভোএয়ারের বিমান চলে সাতটি অভ্যন্তরীণ রুট এবং একটি আন্তর্জাতিক রুটে। রিজেন্ট এয়ার পাঁচটি অভ্যন্তরীণ এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। নিয়ম অনুযায়ী, এক বছর অভ্যন্তরীণ রুটে উড়োজাহাজ চালানোর পর আন্তর্জাকি রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়।

১৯৯৫ সালে বেসরকারি এয়ারলাইন্স অ্যারো বেঙ্গলকে ফ্লাইট অপারেশনের অনুমতি দেয়া হয়। তবে তারা যাত্রী পরিবহন শুরু করে ১৯৯৭ সালে। আর পরের বছরই এই এয়ারলাইন্সটি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এরপর বাংলাদেশে একে একে কাজ শুরু করে এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, রয়েল বেঙ্গল ও বেস্ট এয়ার। এর কোনোটি এখন আর অপারেশনে নেই। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তারা বন্ধ করে দেয়। অ্যারো বেঙ্গলসহ ছয়টি প্রাইভেট এয়ার লাইন্সই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয় আর্থিক কারণ দেখিয়ে। ওই এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে শুধু জিএমজি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতো।

বাংলাদেশে মোট ১২টি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স বিভিন্ন সময় অনুমোদন পেলেও দুইটি এয়ার লাইন্স কখনো অপারেশনেই আসেনি। এরপর ২০০৭ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ যাত্রা শুরু করে ১১টি উড়োজাহাজ নিয়ে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করেও শেষ পর্যন্ত তারা টিকে থাকতে পারেনি। ১১টি প্লেনের নয়টি পর্যায়ক্রমে অকার্যকর হয়ে যায়। দু’টি প্লেন দিয়ে আরো কিছুদিন সচল থাকার পর ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যায়।

২০১০ সাল থেকে রিজেন্ট এয়ার এবং ২০১৫ সাল থেকে নভো এয়ার ও ইউএস বাংলা ফ্লাইট অপারেশন শুরু করে। এই তিনটি এখনো টিকে আছে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজও দেনায় পড়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচলকর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর কাছে তাদের ২৪ কোটি টাকা দেনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

তাদের বিমানবহরে রয়েছে ড্যাশ-৮ এবং বোয়িং। নভোএয়ার এটিআর-৭২-৫০০ এয়াক্রাফট দিয়ে যাত্রী পরিবহণ করে। ইউএস-বাংলা ড্যাশ এবং বোয়িং উড়োজাহাজ ব্যবহার করে।

আগের এয়ারলাইন্সগুলো বন্ধ হয়েছে প্রধানত দু’টি কারণে। অব্যাহত লোকসান এবং ব্যবস্থাপনার ত্রুটি। ইউনাইটেড এয়ারকে তাদের ৮৪ কোটি টাকা দেনা তিন বছরে তিন কিস্তিতে শোধ করতে সুযোগ দেয়ার পরও টিকে থাকতে পারেনি।

আবার নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে রক্ষনাবেক্ষণ প্রয়োজন। এ রক্ষণাবেক্ষণের একটি পর্যায় হলো সি-চেক। এই সি চেকে গিয়ে আটকে যায় কোনো কোনো এয়ার লাইন্সের উড়োজাহাজ। একটি এয়ারলাইন্সের ১১টির মধ্যে ছয়টি উড়োজাহাজ সি-চেক-এর কারণে বসে থাকতে হয়েছে দীর্ঘদিন।

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং বিমান বোর্ডের সাবেক পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, একটি প্রাইভেট এয়্রালাইন্স চালানোর জন্য যে ধরনের উদ্যোক্তা দরকার, যেমন দক্ষতা দরকার, ব্যবস্থাপনা দরকার সেগুলো আমাদের এখানে এখনো হয়নি।

ফলে এখানে অনেকেই টিকে থাকতে পারছে না। এয়ারলাইন্স ব্যবসা অনেক জটিল ব্যবসা। এটা অন্য পরিবহণ ব্যবসার মতো নয়। অনেকে মনে করে এটা লাভজনক ব্যবসা, তাই আসে। মনে করে এই ব্যবসা করলে একটা পজিশন হবে। একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু সেই এয়ারক্রাফট যখন মেজর চেকের জন্য যায়, তখন বড় ধরনের ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন হয়।

এছাড়া সিলেকশন অব এয়ারক্রাফট, রুট প্ল্যানিং এসবেও সমস্যা আছে। আর আগে লোড হিসাব করে ব্যবসা হিসাব করা হতো। এখন আয় এবং ম্যানেজমেন্টের ব্যালেন্স করতে হয়। কেউ যতি টিকেটের দাম কমিয়ে যাত্রী লোড বাড়িয়ে ফেলে। তাতে ব্যবসা না-ও হতে পারে।

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশে ড্যাশ-৮ এয়ারক্রাফট বেশি ব্যবহার হয়। গত ১৫ বছর ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে এই এয়ারক্রাফট চালানো ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল এখানে আছে। আর থাকার কারণেই এই এয়ারক্রাফট ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। অন্য ধরনের এয়ারক্রাফট আনলে নতুন করে জনবল তৈরির প্রয়োজন হবে।
তিনি বলেন, প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রীসেবার মান ভালো হচ্ছে, কারণ, তাদের এখন আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ভালো এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনার কারণে সাময়িকভাবে বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ার লাইন্সের ব্যবসায় নেতবিাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু এটা স্থায়ী হবে বলে আমার মনে হয় না।

রিজেন্ট এয়ার-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আখতার ইউ আহমেদ দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর যাত্রীসেবা অনেক ভালো, কারণ, আমাদের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে যাত্রী পেতে হয়। যাত্রী সেবার প্রথম শর্ত হলো শিডিউল মতো ফ্লাইট অপরেশন। আমরা সেটা চেষ্টা করি। আর অনবোর্ড সার্ভিসও মান সম্পন্ন।

তাহলে বাংলাদেশে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স কেন বন্ধ হয়ে যায়? কেন ব্যবসা করতে পারে না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লাভ-লোকসানের এই হিসাব তো আমি দিতে পারবো না। আর কেন টিকতে পারছে না এর কোনো সিম্পল আনসার নাই।

অন্যদিকে এভিয়েশন বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক আবুল আজাদ সুলায়মান বলেন, প্রাইভেট এয়ারলাইন্সের যাত্রীসেবা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ে ভালো। তারা এটাকে গুরুত্ব দেয়। কিন্তু এরা ড্যাশ-৮ এর ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। ইউএস-বাংলার ড্যাশ-৮ বিমান দুর্ঘটনার পর এটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এটা কিছু দেশ ব্যবহার করলেও ইউরোপ এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অনেক দেশ এই উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে না। কারণ, এর ল্যান্ডিং গিয়ার ত্রুটিপূর্ণ।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে যারা প্রাইভেট এয়ালাইন্সের ব্যবসা করেন, তারা এটাকে আলু-পটলের ব্যবসার মতো মনে করেন। তাদের এটা করার দক্ষতা এবং যোগ্যতা নাই। তারা মনে করে, এ ব্যবসা করলে তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আর অনেক ব্যবসা হবে। কিন্তু ব্যবসায় নেমে যখন আর পারে না, তখন কোম্পানি বন্ধ করে দেয়। কারণ, এয়ারক্রাফট ওভারহলিং সম্পর্কে তাদের আগে ধারণা থাকে না। এটা ব্যয়বহুল। যখন করতে হয়, তখন ব্যবসার পুঁজিই শেষ হয়ে যায়।

(আজকের সিলেট/১৬ মার্চ/ডি/এমকে/ঘ.)

Print Friendly, PDF & Email
সংবাদটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন
  • 11
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
    11
    Shares
tweet
সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের ৫ ধাপ অবনতি
কতটা অত্যাধুনিক ছিল হকিংয়ের চেয়ার

About AJKER SYLHET

এ সংক্রান্ত অন্যান্য সংবাদ

  • দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

    দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

    February 16, 2019

  • কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

    কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

    February 16, 2019

  • সিলেটে কমবে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    সিলেটে কমবে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    February 16, 2019

  • গোয়াইনঘাটে ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা

    গোয়াইনঘাটে ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা

    February 16, 2019

এ সংবাদ বিষয়ে মতামত জানাতে পারেন

You must be logged in to post a comment.

এ সংক্রান্ত আরো সংবাদ

  • দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

    দক্ষিণ সুরমায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

    February 16, 2019
  • কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

    কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

    February 16, 2019
  • সিলেটে কমবে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    সিলেটে কমবে তাপমাত্রা, ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

    February 16, 2019
  • গোয়াইনঘাটে ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা

    গোয়াইনঘাটে ছেলের ফাঁসি চাইলেন বাবা

    February 16, 2019
  • ইলিয়াসপত্নীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি

    ইলিয়াসপত্নীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি

    February 16, 2019
  1. আমাদের নিউজ আপনার ই-মেইলে পেতে চান

    এখানে আপনার ই-মেইল আইডি দিন

  2. অনুসন্ধান

  3. SoundCloud

  4. বিচিত্র সংবাদ

  • rss
প্রধান সম্পাদক : এম. সাইফুর রহমান তালুকদার |
সম্পাদক : রজত কান্তি চক্রবর্তী | যোগাযোগ : কমন মার্কেট (৫ম তলা), বন্দরবাজার, সিলেট-৩১০০ | ইমেইল : report.ajkersylhet@gmail.com | ফোন : +৮৮ ০১৭১১ ২৭৬০২৪, ০১৭১২ ৩৫৭০৫৫ |
কপিরাইট © ২০১১, আজকের সিলেট ডটকম-এর সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | Developed by: Bangla IT BD