২৮ জুলাই ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুরোগী সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সিলেটে আরো ২৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সিলেট জেলার ১১ জন, সুনামগঞ্জের ১ জন ও হবিগঞ্জের ১৩ জন রয়েছেন। চলতি মওসুমে সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬৬ জন ছাড়িয়েছে। বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসা-বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১১ ডেঙ্গুরোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে আরো ২৫ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের ২৪ ঘন্টায় অর্থাৎ বুধবার শনাক্ত হন ২৮ জন এবং মঙ্গলবার শনাক্ত হন ২৩ জন।
জানা গেছে, চলতি মওসুমে (জানুয়ারী থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত) সিলেটে শনাক্ত হওয়া ৩৬৬ ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে সিলেট জেলার ২০০ জন, সুনামগঞ্জ জেলার ২১ জন, হবিগঞ্জ জেলার ১২৮ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ১৭ জন রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের ৩৬৬ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে ২৬৩ জন ইতোমধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে ১১১ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে সিলেটে ৩৪ জন, সুনামগঞ্জে ৬ জন, হবিগঞ্জে ৬৮ জন ও মৌলভীবাজারে ৩ জন ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে চলতি মওসুমের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬৩ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হলেও, শুধু চলতি জুলাই মাসের ২৭ দিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩০৩ জন। প্রতিদিন গড়ে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ১২ জন।
এদিকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এরই মধ্যে এডিস মশা নির্মূলে প্রতিদিনই নগরজুড়ে চলছে বিশেষ অভিযান। যেখানেই এডিস মশার লার্ভা মিলছে সেখানেই করা হচ্ছে জরিমানা।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নগরীর বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ডেঙ্গুর শঙ্কা বাড়ছে। এর মধ্যে নগরীর ৪, ৭, ১০, ২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনাল ও কদমতলী এলাকায় পাওয়া গেছে লার্ভা। ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় এডিসের লার্ভা সনাক্ত হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে এডিস মশার বিস্তৃতি ঘটছে। তাই ডেঙ্গুর ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ দূর করতে আমাদের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে সচেতন করতে অভিযান চলছে।