৮ আগস্ট ২০২৩
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি : সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার ৪নং পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নারী সদস্য ও ৮ পুরুষ সদস্য। ১১ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরিত লিখিত অনাস্থাপত্র ৭ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিঅ জানান। এই অনাস্থা প্রস্তাবের অনুলিপি উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার ও বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের ৩জন মহিলা সদস্য ও ৮ জন পুরুষ সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ ও আক্রমনাত্মক কথাবার্তা বলেন চেয়ারম্যান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি করে আসছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদ আইন না মেনে অশালীন আচরণ ও দেখিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া, পরিষদে আসা সরকারি বরাদ্দ বণ্ঠনে বৈষম্য করে আসছেন। চেয়ারম্যান ও পরিষদের সচিবের সহযোগিতায় সাধারণ সভার রেজুলেশন করে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আসছেন। গত মাসে তিনি ছুটি না নিয়ে বিদেশ গমন করেছেন। প্রথম গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যান ছাড়াও তিনি নিজের একক প্যানেল গঠন করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করেন।
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, গত বন্যায় নামে বেনামে কমিটির দিয়ে ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করছেন চেয়ারম্যান ইউনিয়নের নাগরিক, উত্তরাধীকারী, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম মৃত্যু সনদসহ হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সরকারি নির্ধারিত ফিঃ ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা গ্রহন করেন। গত বন্যায় হোন্ডিং ট্যাক এর লাখো টাকা আয় করেন, পরিবহন খরচ বলে আত্মসাৎ করেছেন। টাকার বিনিময়ে টিউবওয়েল দেয়া, বয়স্ক ও মাতৃত্বকালীন ভাতার কার্ড প্রদানে নগদ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ঠিকাদারী কাজ নিয়ে ব্যস্থ। সপ্তাহ পনের দিনে এক দিন অফিস করেন অভিযোগে প্রকাশ।
১, ২, ৩, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড এবং সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যরা বলেন, তুঘলকি কায়দায় অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করে আসছেন। নানা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা সম্মিলিতভাবে ৭ আগস্ট বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছি। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থা প্রস্তাব ও অভিযোগ সমূহ সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।