২৫ আগস্ট ২০২৩


লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার

শেয়ার করুন

খলিলুর রহমান : সিলেটের বাজারে ডিম ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বাড়তি। মাছ-মাংস কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। এবার বাড়তি দাম এসে ঠেকেছে মসলাজাত পণ্য রসুনেও। বাড়তি দামে রসুনও কিনতে হচ্ছে ক্রেতা-ভেক্তাদের।

শুক্রবার বন্দর বাজার, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, মদিনা মর্কেটসহ কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব পণ্যের পাশাপাশি রসুনের দামও এখন বেশি।

বেশ কয়েক মাস ধরে অস্থির মাছ, মাংসের বাজার, কাঁচাবাজার, এমনকি মসলাজাত পণ্যের বাজার। সম্প্রতি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুরু হয়েছে তদারকি ও আমদানি। ভারত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। এরপরও নিয়ন্ত্রণে নেই নিত্যপণ্যের কেনাবেচা।

বাজার ঘুরে দেখা গেলো, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে। পাড়া-মহল্লার কোনো কোনো দোকানদার ১০০ টাকাও রাখছেন। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে রসুনের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা।

বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী আল আমী বলেন, মাস দেড়েক আগেও রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। সেটা বাড়তে বাড়তে ২৫০ টাকায় এসেছে। গত দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানেই আমদানি করা রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।

এই বিক্রেতা আরও বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় খুচরায়ও দাম বেড়েছে। আড়ৎ ও পাইকারী বাজারে তদারকি-অভিযান শুরু হলে পণ্যটির দাম হয়তো কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

বাজারে পেঁয়াজ, রসুনের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৫০ থেকে ২৬০ এবং মিয়ানমারের আদা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শেয়ার করুন