১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট : মাত্র ৪ ঘণ্টা ব্যবধানে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরোও ৯জন।
সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে বাড়ি ফেরোর সময় নরসিংদীর শিবপুরে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোর রাত দুইটায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার শ্রীফুলিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৯৯৯ – এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন – মাইক্রোবাসচালক নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সাবদীবাজার এলাকার সুভাস চন্দ্রের ছেলে সাগর চন্দ্র (৩২), যাত্রী চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মুন্সীরকান্দি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে এফাজুল হক (৫০) ও তার ছেলে মোস্তাকিম (১৮)।
আহতরা হলেন- নিহত এফাজুল হকের স্ত্রী মুক্তা আক্তার (৪৫), ছেলে আশরাফুল প্রধান (১৪), মেয়ে ইলমা আক্তার (১২), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ফারুক হোসেন (৫০), হাসিদা বেগম (৪২), সানজিদা আক্তার (১৬) ও নূর মোহাম্মদ (৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে মাইক্রোবাসে করে দুটি পরিবার সিলেটে মাজার জিয়ারতে গিয়েছিল। জিয়ারত শেষে তারা শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ ফিরছিলেন। তাদের মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের শ্রীফুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত থেকে আসা সিলেটগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায়। আর ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হয়। পরে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
এই দুর্ঘটনার মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে রাত পৌনে ১০টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার ভিটি মরজাল এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে।
বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বড়চর গ্রামের মো. কাসেম মিয়ার স্ত্রী দোলনা বেগম (৫৫), তার নাতি আরিয়ান (৭) ও বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের রানা মিয়া (১৮)।
দুই দুর্ঘটনারই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে তিনজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। পরে মরদেহগুলো হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশের এস আই আবুল খায়ের বলেন, বেপরোয়া গতি ও ওভারটেকিংয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও মাইক্রোবাস জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি। আর মরদেহগুলো নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছে, অনুমতি পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।