১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেটের সাইবার ট্রাইবুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সিলেট জেলা শাখার ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ।
ফেইসবুকে প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ সাধীনতা স্বপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার, কটুক্তিমূলক, ব্যাঙ্গত্বক ও অপবাদমূলক পোস্ট দেওয়ার কারণে তিনি ৩ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
মামলার আসামীরা হচ্ছেন ফয়েজ আহমদ (Foyez Ahmed) নামীয় ফেসবুক আইডির এডমিন ফয়েজ আহমদ। তার বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর থানার দরবস্ত এলাধীন হাজারীসেন গ্রামে। তিনি ঐ গ্রামের আজিজুর রহমানের পুত্র। মামলার ২য় আসামী নাজমুল ইসলাম (Najmul Islam) নামীয় ফেইসবুক আইডির এডমিন নাজমুল ইসলাম। তিনি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার দক্ষিণভাগ এলাকাধীন সফরপুর গ্রামের বদরুল ইসলামের পুত্র।মামলার ৩য় আসামী নুরুল ইসলাম মাসুদ (Nurul Islam Masud) নামীয় ফেইসবুক আইডির এডমিন নুরুল ইসলাম মাসুদ। তিনি সিলেট নগরীর কতোয়ালী থানাধীন ঝেরঝেরি পাড়ার এভারগ্রীণ ৬১ নং বাসার আব্দুল মজিদের পুত্র।
মামলায় অভিযোগ করা হয় উপরোক্ত বিবাদীরা স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও রাষ্ট্র বিরোধী সন্ত্রাসী চক্রের লোক। তারা বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি এডিট ও বিকৃত করে নানা অশ্লীন এবং নানা বেঙ্গাত্বক পোস্ট তাদের ফেইসবুক আইডিতে আপলোড করে তা প্রচার করেন। তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চকে “মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামে নাট্যমঞ্চ তৈরি করে দেশেকে ভারতীয় আগ্রাসনের যে দালালী করেছিলো কুলাঙ্গার এর বাচ্চারা। তাদের কথা আমরা ভুলে যাই নি। সময় এসেছে হিসাব বুঝে নেওয়ার” এ মর্মে পোস্ট দেওয়া ছাড়াও “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবল্টু” বলেও পোস্ট দেয় এবং প্রচার করে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা বিরোধী, বঙ্গবন্ধু বিরোধী ও রাষ্ট্রদ্রোহী একাধিক পোস্ট প্রচারের কারণে মোস্তাফিজুর রহমান মনক্ষন্য হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে আরজিতে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২১/২৫/২৬/২৯/৩১(১)/৩৫ ধারায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
সিলেটের সাইবার ট্রাইবুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য এসএমপি’র দক্ষিণ সুরমা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সিলেট জেলা বারের আইনজীবী এডভোকেট টিপু রঞ্জন দাস মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চত করেছেন।