২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩


এমসি কলেজে গণধর্ষণের ৩ বছর : গতিহীন বিচারকাজ

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট :

সিলেটের মুরারিচাঁদ ( এমসি ) কলেজছাত্রাবাসে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া নারীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পূর্ণাঙ্গভাবে বিচারকাজ শুরু হয় নি। এঘটনায় ৩০ দিনের মধ্যে দুটি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির ব্যবস্থা করতে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করে নি । বরং এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে দুই মামলার বিচার কাজ থেমে আছে।

ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনার বিচার কার্যক্রম দীর্ঘসূত্রতার দিকে যাচ্ছে। সে সুযোগে আসামিরা জামিনে বের হতে পারেন । আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির জন্য হাইকোর্ট বিভাগ আদেশ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে লিভ টু আপিল করল কোন স্বার্থে? কার স্বার্থে? ন্যায়বিচারের পক্ষে না বিপক্ষে, সেটা আমরা বুঝতে অপারগ।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে দক্ষিণ সুরমার এক যুবক তার নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিলেন। সন্ধ্যার পর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন তারা। এ সময় কয়েকজন যুবক তাদেরকে জোরপূর্বক জিম্মি করে গাড়িতে তুলে কলেজছাত্রাবাসে নিয়ে একটি কক্ষে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।

পরে জানা যায়, ধর্ষণকারী ওই যুবকরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ওই ঘটনায় গত বছরের জানুয়ারিতে ধর্ষণ মামলার ও চলতি বছরের মে মাসে চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ-ই শুরুই হয় নি।

ধর্ষণের মামলা দুটি বর্তমানে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আছে। ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বদলির আদেশ দিয়েছিলেন। চলতি বছরের ২৬ জুন আপিল বিভাগের আইনজীবী হরিদাস পালের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাদীপক্ষের আইনজীবীকে লিভ টু আপিল করার বিষয়ে জানানো হয়। তবে লিভ টু আপিলের এখনো শুনানি হয় নি।

এএস // আতারা

শেয়ার করুন