২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩


কানাইঘাটে জাকিরের জমজমাট জাল পর্চা ব্যবসা: অভিযোগ

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :সিলেটের কানাইঘাটে ভুমি জাল পর্চার জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে জনৈক জাকির আহমদ।

উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী জাকির আহমদ এর বাড়ি কুমিল্লায়। দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর ধরে উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত রয়েছেন তিনি। দীর্ঘ এ মেয়াদে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুমির জাল পর্চা প্রদান করে দেশের বাড়িতে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন।

উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে কর্তা-ব্যক্তিদের সীলমোহর ও জাল স্বাক্ষর বসিয়ে তিনি অবাধে ভুমির ভুয়া পর্চা প্রদান করে আসছেন। ফলে প্রতারিত হচ্ছেন ভুমির মালিক ও অধিকারীরা। এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে ভুমি নিয়ে নানা বিরোধ। বিরোধের জের ধরে অহরহ ঘটছে মারামারি। ঘটছে আইনশৃঙ্গলা পরিস্থিতির অবনতি।

গত ১২ সেপ্টেম্বর কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া অভিযোগ থেকে জাকিরের জালিয়াতির এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

অভিযোগে প্রকাশ, কানাইঘাট সেটেলমেন্ট অফিসের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কর্তা ব্যক্তিরা অফিসে না থাকার সুযোগে কর্মচারী জাকির আহমদ অফিসারদের নামে সীলমোহর তৈরি করে তাদের জাল স্বাক্ষর বসিয়ে ভূমির পর্চা প্রদান করেন এবং পর্চাপ্রতি ৫০০ টাকা করে আদায় করে চলেছেন। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

উপজেলার ঢালাইচরের জনৈক হাফিজ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষ দিকে তিনি তার বাড়ির ৮টি পর্চা উত্তোলনের জন্য জাকির আহমদ এর কাছে যান। এসময় জাকির তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। হাফিজ আহমদ তখন প্রাথমিকভাবে জাকিরকে ২ হাজার টাকা প্রদান করেন। পর্চা পাওয়ার পর বাকী টাকা দেবেন বলে সময় নেন। জাকির আহমদ তাকে ৬ টি পর্চা প্রদান করলে এর মধ্যে একটি পর্চা জাল ও ভুয়া প্রমানিত হয়।

অভিযোগে আরও প্রকাশ, কানাইঘাট উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মচারী জাকির আহমদ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নামে সীলমোহর তৈরি করে তাদের নামে জাল স্বাক্ষর বসিয়ে পিন্ট পর্চা, মাঠ জরিপের পর্চা, সিএস, এস এ, বি এস, ও আর এস পর্চা প্রদান করে ভুমি মালিকদের কাছ থেকে বড় অংকে টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। জকিরের বসতঘরে সরকারী ভুমি কর্মকর্তাদের একাধিক সীল ও ভুমি জরিপের পর্চা রয়েছে। এসএ ও মাঠপর্চা হাতে লিখে জাল স্বাক্ষর ও সীলমোহর বসিয়ে দেন তিনি। তার জালিয়াতি বাণিজ্যের সহযোগিতায় রয়েছে বিভিন্ন পেশার পরিচয়ে একটি দালাল সিন্ডকেট। এই সিন্ডেকেটে উপজেলার কতিপয় নামধারী সাংবাদিক ও ডিড রাইটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চত করেছে।

এ বিষয়ে জাকির আহমদের সাথে সেলফোনে কথা হলে তিনি জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি জোনাল অফিস সিলেট থেকে পর্চা এনে লোকজনকে দিয়ে থাকি।

শেয়ার করুন