২৩ অক্টোবর ২০২৩


তরুণ আদিলের অদম্য পথচলা

শেয়ার করুন

আজকের সিলেট ডেস্ক : সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাটে প্রযুক্তি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করছেন আদিল আহমেদ। আদিল মূলত একজন শিক্ষার্থী। শৈশব থেকেই আইটি সেক্টরে বেশ পটু তিনি। বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি পেশায় একজন কম্পিউটার প্রশিক্ষক। চাচার দেওয়া উপহার ল্যাপটপ দিয়েই ২০১২ সাল থেকে খুঁটিনাটি করে কাজ শিখতে শুরু করেন আদিল। পরবর্তীতে একটি আইটি সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও অভিজ্ঞ হওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরে ‘ইত্তেহাদ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান প্রশিক্ষক তিনি।

 

ইতোমধ্যেই তার অধীনে গোয়াইনঘাটের শত শত তরুণ-তরুণী কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তিনি বেসিক কম্পিউটার, অফিস ফান্ডামেন্টাল, গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তার অবিশ্বাস্য প্রতিভা, যোগ্যতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দ্রুত গোয়াইনঘাট উপজেলায় একজন দক্ষ আইটি প্রশিক্ষক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।

শিক্ষার্থীদের ক্লাস দিচ্ছেন আদিল

২০০০ সালে উপজেলার হাতিরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আদিল। ২০১৬ সালে বাবাকে হারানোর পর থেকে ৫ সদস্যের পুরো পরিবারের ভরণপোষণ তিনি একাই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বয়সেই তিনি নিজেকে মেলে ধরেছেন অনন্যরূপে।ফ্রিল্যান্সিং-ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করে আয় করছেন লাখটাকা।

 

 

 

 

 


একান্ত আলাপে আজকের সিলেটকে আদিল বলেন,আমি আমার জীবনের চরম দুঃখ-কষ্ট পেরিয়েও তথ্যপ্রযুক্তিতে কাজ করছি। আমরণ পিছিয়ে থাকা গোয়াইনঘাটকে তথ্য প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতেকাজ করে যেতে চাই, ইন শা আল্লাহ। আমি আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের ভালভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।

গোয়াইনঘাটে ভাল কাজের নিদর্শন রেখে যেতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমি চিন্তা করি আমার দ্বারা আমার এলাকার একটি ছেলে বা মেয়ে যদি কিছু শিখে, কিছু করতে পারে তবেই তো আমার জীবন সফল।আমার অনেক প্রশিক্ষণার্থী প্রবাসে গিয়ে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে কাজ করছে, কেউ নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেছে, কেউ অন্যের প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে, কেউ সরকারি-বেসকারি বিভিন্ন অফিসে কাজ করছে, কেউ ফ্রিল্যান্সিং এ যুক্ত হয়ে পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করছে দারুণভাবে।’

বয়স কম হওয়ায় অনেকে প্রশিক্ষক হিসেবে মেনে নিত না উল্লেখ করে আদিল বলেন, ‘বয়স স্বল্পতায় শুরুর দিকে অনেকে আমাকে মেনে নিত না। বেশ কষ্ট পেতাম। তবু ধৈর্য ধরে কাজ করে গেছি। এখন আমার কাছে প্রশিক্ষণ নিতে আসেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক,শিক্ষার্থী, বিভিন্ন অফিসে কর্মরত চাকুরিজীবীসহ নানান পেশার মানুষজন। আলহামদুলিল্লাহ সবার ভালবাসা পাচ্ছি।’

এএস// আতারা

শেয়ার করুন