৬ নভেম্বর ২০২৩
সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। বিভিন্ন জাতের সবজির চারা রোপণ ও পরিচর্যায় কৃষকের পরিবারগুলোতে ব্যস্ততা বেড়েছে। কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে জমিতে চারা পরিচর্যা, আগাছা পরিষ্কার ও পানি দেওয়াসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একসময় নিজেদের পারিবারিক চাহিদা পুরনে এসব সবজি (বিচরাক্ষেত) করা হতো এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এসব সবজি। ভালো দাম পেতে আগাম শাক-সবজির চাষে ঝুকছেন তারা। পুরুষদের পাশাপাশি ঘরের নারী সদস্যরাও কাজে তৎপরতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার উপজেলায় শীতকালীন সবজিচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ শত ৮০ হেক্টর। এ পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ৪২০ হেক্টর। শীতকালীন সবজির আবাদ আরো বাড়বে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবুজে সবুজে ভরে উঠছে মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি শিম,শশা,ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুন, মুলা, করলা, পটল,টমেটো,পিয়াজ, পালং ও লাল শাকসহ রকমারি শীতকালীন সবজির চারা। মাঠে মাঠে এসব ফসল পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত তারা। কাকডাকা ভোরে কোদাল, নিড়ানি, বালতি, স্প্রে মেশিন ইত্যাদি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন সবজি পরিচর্যায়। বিকেল পর্যন্ত পরিচর্যা করে বাড়ি ফিরছেন। এভাবে শীতকালীন সবজি নিয়ে চলছে কৃষকদের কর্মযজ্ঞ।
এদিকে বিচরাক্ষেত খ্যাত গৃহিণীদের করা শীতকালীন সবজি চাষে পারিবারিক পুষ্টি ও সবজির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আর্থিক মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে পরিবারের অন্যান্য কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গৃহিণীদের এসব শীতকালীন সবজি আবাদ।এছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টিবাগান।