২১ নভেম্বর ২০২৩


ছাত্রলীগকর্মী আরিফ হত্যা : ওসির বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ, আটক ২

নিহত আরিফ। ছবি : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

 

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট মহানগরীতে প্রথমবার হামলার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগের ৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিপক্ষের ফের হামলায় খুন হয়েছেন এক ছাত্রলীগ কর্মী।সোমবার রাত ১২টার দিকে নগরীর বালুচরের টিভি গেট এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ (১৯)। তিনি নগরীর টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে এবং সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আরিফ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী বলেও জানা গেছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবার হামলার শিকার হয়ে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা আরিফকে টিভি গেইট এলাকান গোয়ালীছড়া ওয়াকওয়েতে ধরে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে আরিফের মাসহ স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন মারা যান আরিফ।

আরিফের মা আঁখি বেগম জানান, শাহপরান থানার ওসির গাফিলতির কারণেই তার ছেলে খুন হয়েছেন। খুনের প্রায় ৪ ঘণ্টা আগে প্রথম হামলার জন্য ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তার ছেলেকে একই আসামিরা আবারও হামলা চালিয়ে খুন করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে শাহপরান থানার ওসি আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে বলেন, ১৫ নভেম্বর আরিফের ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার রাত ১০টার দিকে আোখি বেগম একটি অভিযোগ করেছেন। তা যাচাই বাছাই করে মঙ্গলবার সকালে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু তার আগেই আরিফের ওপর আবারও হামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইলিয়াস শরিফ জানান, ঘটনাটি অনাকাঙিক্ষত। যারাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার জানান, এর আগে আরিফ কিংবা তার পরিবার থানায় অভিযোগ দিয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। তবে পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

এদিকে আরিফের নেতা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আরিফকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষের কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে খুন করেছেন। এর আগেও একই পক্ষের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেছিলেন।

তিনি আরও জানান, টিলাগড় ও বালুচর এলাকায় কোনো ছাত্রলীগ কর্মী তার সঙ্গে রাজনীতি করুক, সেটা চান না সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ। তিনি ওই এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে চান। এ জন্য বারবার নাজমুলের পক্ষের নেতা-কর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। আরিফ খুনের ঘটনায় হামলাকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দেওয়া হচ্ছে।

এএস // আতারা

শেয়ার করুন