নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরেনসিক রিপোর্টে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সঙ্গে থাকা কিশোরী ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এস আই আকবর হোসেন ভূইয়ার কাছে ওসিসি থেকে সম্প্রতিিএ রিপোর্ট হস্তান্তর করা হয়।
মামলার আইও জানান, ‘ফরেনসিক রিপোর্টে ধর্ষণের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং ভিকটিমের ডিএনএ এনালাইসিস করা হবে। এরই মধ্যে ডিএনএ স্যাম্পুল সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্রস চেকের জন্য তাদের ডিএনএ সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে ২/১ দিনের মধ্যেই পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। আইও জানান, পুলিশ বিষয়টি অধিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে। আদালত ২২ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করেছে।
এদিকে, ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিতে আরো ১৫ দিনের সময় চেয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগীয় প্রধান ডা. এন. কে. সিনহা জানান, অভিযুক্ত কারাগারে বিধায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। এছাড়া, ভিকটিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। আর এতে আরো কিছু সময় প্রয়োজন। তাই, সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাত ৩টায় ওসমানী হাসপাতালের ৭ নং ওয়ার্ডে পাশবিকতার শিকার হন নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক কিশোরী। ওই কিশোরী তার নানীকে দেখাশোনার জন্য হাসপাতালে ৮নং ওয়ার্ডে অবস্থান করছিলেন। কোতয়ালী থানায় কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়, গভীর রাতে চিকিৎসার কাগজপত্র দেখার কথা বলে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ তাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা কোতয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
(আজকের সিলেট/২৫ জুলাই/ডি/এমকে/ঘ.)