You Are Here: Home»শীর্ষ সংবাদ»হবিগঞ্জ হাসপাতালে বেড সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
হবিগঞ্জ হাসপাতালে বেড সংকট, ভোগান্তিতে রোগীরা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রচণ্ড গরমে হবিগঞ্জে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। গত দু’দিনে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অর্ধশতাধিক শিশুদের ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও প্রায় অর্ধশতাধিক রোগীদের ভর্তি করা হয়েছে। তবে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গা সংকট থাকার কারণে রোগীদের বারান্দায় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু ও অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড়। একই অবস্থায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডটি ছোট হওয়ার কারণে পুরুষ ও নারীদের পাশাপাশি রাখা হচ্ছে। আবার সকল রোগীদের একটি মাত্র টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় রোগীরা আরো অসুস্থ হচ্ছেন।
নবীগঞ্জের গুজাখাই গ্রামের আবু ছালেক মিয়া জানান, গতকাল সকালে হঠাৎ করে তার স্ত্রী ফাহিমা আক্তার পাতলা পায়খানা শুরু করেন। এমতাবস্থায় তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার করেন। হবিগঞ্জ হাসপাতালে আসার পর ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কোন সিট না পাওয়ায় আমার স্ত্রীকে হাসপাতাল বারান্দায় চিকিৎসা দেয়া হয়।
একই কথা জানান, আরও কয়েকজন রোগীর স্বজনরাও।
শিশু ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স জোৎসা রানী দাশ জানান, দুদিনে অর্ধশতাধিক নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার ১৯ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। অনেক শিশুকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তবে কোন শিশু মারা যায়নি।
বানিয়াচং এর বাগহাতা গ্রামের গ্রামের সোহেদা আক্তার জানান, বুধবার রাতে বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে আমার ছেলে ঘেমে গিয়ে ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়। ওইদিন রাতেই তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। কিন্তু শিশু ওয়ার্ডে একটিমাত্র নেবুলাইজার থাকায় আমাদের অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে নেবুলাইজার ব্যবহার করতে হয়। এছাড়াও ডাক্তারদের সকালে একবার দেখে গেলেও আর তাদের পাওয়া যায় না।
হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, আবহাওয়া পরিবর্তন ও খাবার সমস্যা কারণে অনেক সময় ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ঠান্ডাজনিত কারণেও শিশুদের নিউমোনিয়া হয়ে থাকে।
তিনি জানান, ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন। নিউমোনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। অনেক সময় পরিবারের অসর্তকতার কারণে ফ্যানের অতিরিক্ত বাতাসে ঠান্ডা লেগে শিশুদের নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। অভিভাবকরা একটু সতর্ক হলেই এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।