অতিথি প্রতিবেদক
সিলেট : বৈশাখের শুরুতে প্রচন্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। গরমের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শীতল হচ্ছে না প্রকৃতি। তীব্র গরমের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
গরমের সাথে থেমে থেমে যে বাতাস বইছিলো সেই বাতাস ছিলো আগুনের হলকার মতো। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ছিলো ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৈশাখের শুরু থেকে ঝড়-বৃষ্টির দেখা মিললেও গত কয়েকদিন ধরে গরমের মাত্রা বেড়ে যায়। গতকাল সকাল থেকে আবহাওয়া ছিলো প্রচন্ড উত্তপ্ত।
গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি ছিলো না। শিশুরা ছাড়াও গরমে সবচেয়ে বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন বৃদ্ধরা। নেতিয়ে পড়েছে প্রাণিকুলও। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা।
প্রচন্ড রোদের সাথে ছিলো গরম হাওয়া। একদিকে তীব্র তাপদাহ অন্যদিকে লু হাওয়ার ফলে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে। অতিরিক্ত গরমে শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহের কারণে বেশি বিপাকে পড়েন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, খুব শিগগিরই ভারী বর্ষণেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। আরো কয়েকদিন এরকম আবহাওয়া থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে কয়েকদিন পর তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসতে পারে।