২৩ জুলাই ২০২০


ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি : ৬ ‘আদম ব্যবসায়ী’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমধ্যসাগর দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালিতে মানবপাচারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ৬ জনের বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযুক্তরা হলেন- সিলেটের রাজা ম্যানশনের নিউ ইয়াহিয়া ওভারসিজের মালিক এনামুল হক, সিলেটের গোলাপগঞ্জের জায়েদ আহমেদ, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার রাজ্জাক হোসেন, নোয়াখালীর মনজুর হোসেন রুবেল, ইয়াকুব রিপন ও আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য লিবিয়া প্রবাসী নাসির উদ্দিন রুমান ওরফে গুডলাক। এদের মধ্যে এনামুল হক ও আব্দুর রাজ্জাক কারাগারে রয়েছেন আর বাকিরা পলাতক। অভিযুক্তরা সকলে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের সদস্য বকলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মূখ্য বিচারিক হাকিম কাওছার আহমদের আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অর্থনৈতিক অপরাধ স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম খান। এছাড়া অভিযোগের সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ঢাকার সাইফুল ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অভিযোগত্র জমা দেওয়ার পর তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মানবপাচারকারী এই চক্রটি স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে বিদেশ যেতে আগ্রহীদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়া নিয়ে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ভূমধ্যসাগর দিয়ে নৌকাযোগে ইতালি পাঠাতো। এছাড়া এ চক্রটি লিবিয়ায় মানুষকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো।

২০১৯ সালের ৯ মে ভূমধ্যসাগর পথে লিবিয়া থেকে ইতালি যাবার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান বেশ কিছু বাংলাদেশিসহ অন্তত ৬৫ জন। এদের বেশিরভাগই সিলেটের বাসিন্দা।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১৬ মে রাতে সিলেটের আলোচিত মানবপাচারকারী এনামুল হকসহ ২০ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভূমধ্যসাগরে নিহত আব্দুল আজিজের ভাই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মুহিদপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিন। এর পর সিআইডির অর্থনৈতিক অপরাধ (ইকোনমি ক্রাইম) স্কোয়াড প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।

শেয়ার করুন