১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হোক চৌধুরী। পরিবহন শ্রমিকরা উচ্চেদের প্রতিবাদে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুকসহ এক পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় সিসিকের কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এ সময় সিসিক কর্মী ও পুলিশের সাথে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, চৌহাট্টা এলাকায় সিসিকের সৌন্দর্যবর্ধন উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়া শ্রমিকদের বাঁধা দেয় সেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা গাড়ির স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা। এমন খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদসহ পুলিশের একটি দল। সিসিক কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে চাইলে শ্রমিকরা স্ট্যান্ডের জন্য জায়গা চান। একপর্যায়ে জায়গা না দিলে শ্রমিকরা গাড়ি নিয়ে সরবেন না বলে জানালে দেখা দেয় উত্তেজনা।
পরে সিসিকের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ কাজ শুরু করতে চাইলে শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা পরিবহন শ্রমিকদেরকে শান্ত করা চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাদের দাবি মানার জন্য পুলিশকে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে।
এরপর উত্তেজিত শ্রমিকরা সিসিকের শ্রমিকদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। একপর্যায়ে সিসিকের শ্রমিকও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষ চলাকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক পরিবহনণ শ্রমিককে ধাওয়া করে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে একনলার একটি বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গ্রেফতারকৃত পরিবহন শ্রমিক সিসিকের শ্রমিকদের গুলি করার চেষ্টা চালায়।
শ্রমিকনেতা আলী আকবর রাজন জানান, আমরা সরে যেতে রাজি। কিন্তু অন্য কোথাও আমাদের গাড়িগুলো রাখার জন্য কিছু জায়গা দেওয়া হোক।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশন অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গেলে শ্রমিকরা হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও পুলিশ চৌহাট্টার ঘটনাস্থলে আছে। বন্দুকসহ একজনকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।