১৮ এপ্রিল ২০২১


‘অ্যাপ’ বন্ধ, চলছে ‘খ্যাপ’

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশের মত সিলেটে লকডাউন চলছে। তবে এই লকডাউনে থেমে নেই মোটরবাইকে যাত্রী পরিবহন। অ্যাপের পরিবর্তে এখন খ্যাপে (কন্ট্রাক্টে) চলছে যাত্রী পারাপার। এ নিয়ে পুলিশের কড়াকড়ি অবস্থান থাকলেও চোখ ফাঁকি দিয়েই চলছে সেবাটি। জনপ্রিয় এ দুটি রাইড ‘উবার’ এবং ‘পাঠাও’ শেয়ারিং কোম্পানি তাদের সেবা বন্ধ রেখেছে। সোমবার থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সিলেটসহ সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। এতে সিলেট নগরীতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

নগরীর আম্বরখানা, টিলাগড়, বন্দরবাজার, কোর্ট পয়েন্ট ও দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর, চন্ডিপুল, শিববাড়ি এলাকার সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় যাত্রীদের ডেকে ডেকে পরিবহন চেষ্টা করছেন চালকরা। দরকারি কাজে বের হওয়া লোকজন অনেকেই বিপাকে পড়ে মোটরসাইকেলের আরোহী হন।

সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, অ্যাপের চেয়ে খ্যাপের মাধ্যমে মোটরবাইক চালকরা কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করছে। তাছাড়া গণপরিবহন বন্ধের সুযোগও তারা নিচ্ছেন। এতে বাধ্য হয়েই গন্তব্যে পৌঁছার কারণে তাদের দাবীকৃত ভাড়াই পরিশোধ করতে হচ্ছে।

মোটরবাইক চালকরা বলছেন, মানুষের চলাচল কম, ট্রিপও কম, বেশি ভাড়া না নিলে পোষায় না। বিশেষ করে যেসব জায়গায় যাত্রী নেওয়ার পর ফিরতি যাত্রী পাওয়া যায় না, সেসব জায়গায় বেশি ভাড়া চাওয়া হয়। তাদের অ্যাপ চালু থাকলে অনেক বেশি যাত্রী পাওয়া যায়, আবার অ্যাপভিত্তিক বোনাস পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তাদের পুষিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা গেছে, লকডাউন চলাকালে মোটরসাইকেলে একাধিক ব্যক্তি পরিবহন দেখলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। তবে চালকরা চেকপোস্ট এড়িয়ে বিকল্প পথে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে কেউ পুলিশের সামনে পড়ে গেলে অবশ্য মামলার গ্যাড়াকলে পড়তে হয় তাদের।

এসএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি.এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, লকডাউন সফলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মহানগর পুলিশ। গত তিনদিনে ৯৭ টি মোটরসাইকেল এবং চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৮৯টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন