১৯ জুন ২০২১
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বানিয়াচং উপজেলা সদরের সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। একই সাথে অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ২নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের গরীব হোসেন মহল্লা চৈড়ার পাড় জামে মসজিদের সামন থেকে হাজী জালাল উদ্দিনের বাড়ির সামন পর্যন্ত সিলেট বিভাগের গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পের ওই সড়ক নির্মাণে কাজ পায় শেখ সেলিম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩২ লাখ টাকা। পরে এই ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ ক্রয় করে বানিয়াচংয়ের অন্য ঠিকাদার সেলিম মিয়া।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, চৈড়ার পাড় মসজিদের সামনে থেকে হাজী জালাল উদ্দিনের বাড়ির সড়ক পর্যন্ত ছিল ইট সলিং করা। উক্ত সড়কের ইট উঠিয়ে ঠিকাদার সেলিম মিয়া তার শ্রমিকদের দিয়ে সড়কের বক্স করেছে ১৮ ইঞ্চি। বর্তমানে যে সড়কের এজিং করেছে তা আগের সড়কের ইট সলিং থেকে ৬ ইঞ্চি নিচে এবং এজিংয়ের সাইটে মাটি ভরাট না করেই কাজ শুরু করেছে শ্রমিকরা। ফলে হালকা বৃষ্টিতে সেই এজিং ভেঙ্গে পড়ে গিয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সড়ক নির্মাণে সিডিউল মোতাবেক ১৮ ইঞ্চি কংক্রিট ও বালি দিয়ে পূর্ণ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার কোনো কোনো জায়গায় ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি কংক্রিট ও বালি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ি কাজ না হওয়ায় এলাকাবাসী সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। সড়কের কাজ বিগত ২০১৯ সনের শেষ দিকে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত ১০শতাংশ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
এদিকে অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা প্রকৌশলী ও উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
কাজের অনিয়মের বিষয়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি খেলু মিয়া জানান, সড়কের কাজে অনিয়ম হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী মিলে সেই কাজ বন্ধ করতে বলেছি। বিষয়টি বারবার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জানালেও তিনি আসার কথা বলেও আর আসেননি। মতিউর রহমান নামে আরেক এলাকাবাসী জানান, এই সড়কের মধ্যে বালু আর কংক্রিটের যে মিশ্রণ দিয়েছে সেটা খুব নিম্নমানের। আমাদের দাবি যেন শিডিউল মোতাবেক সড়কের কাজটা হয়।
বানিয়াচং উপজেলা প্রকৌশলী মিনারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে দেয়া হয়েছে সেটা জানতে পেরেছি। আর সেটার অনুলিপি আমাদের কার্যালয়েও পাঠিয়েছে। বিষয়টা সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলে দিব।’