১৩ আগস্ট ২০২১


ছোটমণি নিবাসে দুই মাসের শিশুকে হত্যা, আয়া আটক

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে সমাজসেবা অধিদফতরের ছোটমণি নিবাসে মাত্র দুইমাস বয়সী শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। গত ২২ জুলাই নাবিল আহমেদ নামের ওই শিশুটিকে প্রথমে আছাড় মেরে ও পরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার প্রায় ২০ দিন পর রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার সকালে তিনি জানান, এ ঘটনায় ছোটমণি নিবাসের আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকাকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানা পরিদর্শনে গেলে ছোটমণি নিবাসে একটি শিশুর অপমৃত্যু মামলাটি চোখে পড়ে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত-কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাগবাড়ি এলাকার শিশু নিবাসে যাওয়া হয়। সেখানে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ঘটনায় জড়িত আয়াকে আটক করা হয়।

সিসিটিভির ফুটেজ থেকে জানা যায়, গত ২২ জুলাই দিবাগত রাত ১২টার দিকে ছোটমণি নিবাসে দুইমাস ১১ দিন বয়সী শিশু নাবিল আহমদ কান্না করতে থাকলে ক্ষিপ্ত হন শিশুটির দেখাশুনার দায়িত্বে থাকা আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা। একপর্যায়ে তিনি শিশুটিকে সজোরে বিছানায় আছাড় দেন। বিছানার স্টিলের রেলিঙয়ে আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যায় শিশুটি। এরপরও থামেনি নির্যাতন। শিশুটির মুখে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন সুলতানা।

পুলিশ জানায়, শিশুটিকে হত্যার পর প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করেন সুলতানা এবং ছোটমণি নিবাসের অন্য কর্মকর্তারা। গত ২৪ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় ছোটমণি নিবাসের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে শিশু নাবিলকে দাফন করা হয়।

মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা কোতোয়ালি থানার এসআই মাহবুব বলেন, সংশ্লিষ্টদের অসহযোগিতার কারণে ঘটনার কূল-কিনারা করতে পারিনি। ঘটনার ২০ দিনেও মুখ খোলেননি নিবাসের দায়িত্বে থাকা ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, আয়া বা অন্য কেউ।

এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে আয়া সুলতানা ফেরদৌসী সিদ্দিকা প্রথমে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখানো হলে তিনি চুপ হয়ে যান। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।

শেয়ার করুন