২ জানুয়ারি ২০২২
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : বিয়ের তথ্য গোপন করে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমি নামের এক নারী পুলিশে নিয়োগ লাভের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য গোপন কারী মহিলার এহেন কার্যকলাপে এলাকা জোরে বিশিষ্টজন ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা বাজার ইউনিয়নের বহর গাও গ্রামের মৃত সৈয়দ আব্দুল মন্নানের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করা অবস্থায় লন্ডন প্রবাসী তার ফুফাতো ভাই আব্দুল কাদিরে সঙ্গে বিনা কাবিনে ২০১৩ সালে হুজুর দিয়ে বাল্য বিবাহ হয়। এক বছর সংসার জীবন শেষে ২০১৪ সালে বিয়ে বিচ্ছেদ পরিসমাপ্তি ঘটে। ২০২১ সালে পুলিশ নিয়োগে সে বিয়ের তথ্য গোপন করে মহিলা পুলিশে প্রাথমিক ভাবে নিয়োগ পান তিনি।
পুলিশের নিয়োগ লাভের পর দোয়ারাবাজার থানার এসআই অরূপ বিশ্বাস সরেজমিন পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে রহস্যজনক কারণে সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমিকে অবিবাহিত যুবতী বলে সংশ্লিষ্ট দফতরে ভিয়ার প্রেরণ করেন। বর্তমানে সে সিলেট রেঞ্জের অধীনস্থ পুলিশের ট্রেনিংগে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এবিষয়ে বারবার সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমির মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি।
একই গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.আকবর আলী তালুকদার জানান, সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমির তখন বিয়ের বয়স না হওয়ায়, বিয়েটা ছিল বাল্য বিয়ে তাই বিয়ের কাবিন হয়নি।
একই গ্রামের বাসিন্দা তাজুদ আলী তুতি বলেন,আনুমানিক ৯/১০ বছর হবে পারুল সুলতানা সুমির ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বিয়েতে আমি ও দাওয়াতি ছিলাম।বোগলাবাজার ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য একই এলাকার বাবুল মেম্বার জানান, সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমির তার লন্ডন প্রবাসী ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বাল্য বিয়ে হয়। সে সময় তার বিয়ের বয়স না হওয়ার কারণে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, সৈয়দা পারুল সুলতানা সুমির বাল্য বিয়ে হয়েছিল এলাকা বাসী বললেও বাল্য বিয়ের লিখিত ডকুমেন্ট না থাকায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে বিয়ের কথা উল্লেখ হয়নি।