৯ জানুয়ারি ২০২২


বিদায় বছরে সিলেটে করোনায় মৃত্যু ৯২০, আক্রান্ত ৩৯৫৯৩

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : সিলেট বিভাগে গত এক বছরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৯৩ জন। এই সময়ে করোনায় মারা যান ৯২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৫২ জন। আক্রান্ত, মৃত ও সুস্থদের বেশিরভাগই সিলেট জেলার বাসিন্দা।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানান, গত বছর করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণ ছিল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। যে কারণে মৃত্যুর হার ছিল বেশি। তবে টিকা দেওয়া কার্যক্রম শুরুর পর থেকে মৃত্যুর হার কমেছে। যা এখনও কমতির মধ্যে রয়েছে।

সিলেট বিভাগে গত জানুয়ারি মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫০৯ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ফেব্রুয়ারি মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩০৩ জনের। এই মাসে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। মার্চ মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৮৬ জনের, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এপ্রিল মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ২০১ জনের, মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। মে মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার চার জনের, এর মধ্যে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুন মাসে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন হাজার ২৮৫ জনের। মৃত্যু হয়েছে ৬৯ জনের।

জুলাই মাসে রেকর্ড করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই মাসে ১৪ হাজার ৪৭১ জন আক্রান্ত হন। মৃত্যু হয়েছে ২২৪ জনের। আগস্ট মাসে শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৫৩১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৭৩ জনের। এটাই ছিল সর্বোচ্চ মৃত্যু। সেপ্টেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬১১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৮৮ জনের। অক্টোবর মাসে শনাক্ত ২৮৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। নভেম্বর মাসে শনাক্ত হয়েছেন ৯৯ জন, মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। ডিসেম্বর মাসে শনাক্ত ১০৬ জন, মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ ছিল সিলেট জেলার বাসিন্দা। সিলেট জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৮২৮ জন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে তিন হাজার ৭৩৮ জন, হবিগঞ্জে চার হাজার ৭১৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ছয় হাজার ৩১৪ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে গত জুলাই মাসে। এই মাসে বিভাগে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হন।

একই বছর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৯২০ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৭৮৯, হবিগঞ্জে ৩২, সুনামগঞ্জে ৪৯ ও মৌলভীবাজারে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। গত আগস্ট মাসে ৩৭৩ জনের সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৬২ জন। সুস্থদের মধ্যে সিলেট জেলায় ২৩ হাজার ২৪ জন, সুনামগঞ্জে তিন হাজার ৬৮২ জন, হবিগঞ্জে দুই হাজার ৯২৯ জন এবং মৌলভীবাজারে পাঁচ হাজার ৭২৭ জন।

শেয়ার করুন

মার্কেটের অফিস কক্ষে ঝুলছিল কেয়ারটেকারের লাশ জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাধীন ‘জুড়ী নিউ মার্কেটের’ কেয়ারটেকার আব্দুস সালামের (৫০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ঝুলছিল তার লাশ। মৃত ওই কেয়ারটেকার উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের হরিরামপুর দগ্রামের মরহুম রজব আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি জুড়ী নিউ মার্কেটে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে পৌঁছান আব্দুস সালাম। কর্মস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান ম্যানেজার প্রদীপ দাস। পরে তিনি মার্কেট কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে মার্কেটের মালিক এম এ মুজিব মাহবুব ও তার বড় ভাই জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী বানু বেগম বার বার মোর্চা যাচ্ছিলেন। বানু বেগম জানান, তার স্বামী সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে কর্মস্থলে যান। কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যুর খবর আসে। এ মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। আব্দুস সালামের ছেলে শরিফ আহমদ বলেন, সকালে বাবার হাসিমাখা মুখটা দেখেছি। আমার বাবা আত্মহত্যা করতে পারেন না। যদি কেউ আমার বাবাকে হত্যা করে থাকে আমি ন্যায়বিচার চাই।জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাধীন ‘জুড়ী নিউ মার্কেটের’ কেয়ারটেকার আব্দুস সালামের (৫০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ঝুলছিল তার লাশ। মৃত ওই কেয়ারটেকার উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের হরিরামপুর দগ্রামের মরহুম রজব আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি জুড়ী নিউ মার্কেটে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে পৌঁছান আব্দুস সালাম। কর্মস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান ম্যানেজার প্রদীপ দাস। পরে তিনি মার্কেট কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে মার্কেটের মালিক এম এ মুজিব মাহবুব ও তার বড় ভাই জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী বানু বেগম বার বার মোর্চা যাচ্ছিলেন। বানু বেগম জানান, তার স্বামী সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে কর্মস্থলে যান। কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যুর খবর আসে। এ মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। আব্দুস সালামের ছেলে শরিফ আহমদ বলেন, সকালে বাবার হাসিমাখা মুখটা দেখেছি। আমার বাবা আত্মহত্যা করতে পারেন না। যদি কেউ আমার বাবাকে হত্যা করে থাকে আমি ন্যায়বিচার চাই।জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলাধীন ‘জুড়ী নিউ মার্কেটের’ কেয়ারটেকার আব্দুস সালামের (৫০) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ঝুলছিল তার লাশ। মৃত ওই কেয়ারটেকার উপজেলার পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের হরিরামপুর দগ্রামের মরহুম রজব আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি জুড়ী নিউ মার্কেটে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে পৌঁছান আব্দুস সালাম। কর্মস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ পর মার্কেটের দ্বিতীয় তলার অফিস কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান ম্যানেজার প্রদীপ দাস। পরে তিনি মার্কেট কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে মার্কেটের মালিক এম এ মুজিব মাহবুব ও তার বড় ভাই জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এসময় থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আব্দুস সালামের স্ত্রী বানু বেগম বার বার মোর্চা যাচ্ছিলেন। বানু বেগম জানান, তার স্বামী সকালে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ি থেকে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে কর্মস্থলে যান। কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যুর খবর আসে। এ মৃত্যু যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। আব্দুস সালামের ছেলে শরিফ আহমদ বলেন, সকালে বাবার হাসিমাখা মুখটা দেখেছি। আমার বাবা আত্মহত্যা করতে পারেন না। যদি কেউ আমার বাবাকে হত্যা করে থাকে আমি ন্যায়বিচার চাই।