৮ জানুয়ারি ২০২২
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণের হার এরই মধ্যে সাড়ে ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সারাদেশের মতো সিলেট বিভাগেও বাড়তে শুরু করেছে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা।
গত প্রায় তিন মাস সিলেট বিভাগে সংক্রমণের হার শূন্য থেকে ১ শতাংশের আশপাশে ঘুরপাক খেলেও হঠাৎ করে তা বেড়ে গেছে; কোভিড আক্রান্ত রোগী বাড়তে থাকায় সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে এখনই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরের ৬, ১১, ১৪, ১৯ ও ২৬ তারিখ সংক্রমণের হার ছিল শূন্যের কোটায়। এ দিনগুলোতে করোনায় আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত হননি। এরপরই গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। ওইদিন সংক্রমণের হার ১ শতাংশ অতিক্রম করে। ১ জানুয়ারি সিলেট বিভাগে করোনায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৩১ ভাগ, ২ জানুয়ারি ০.৪২, ৩ জানুয়ারি ১.২০, ৪ জানুয়ারি ১.৫২ ভাগ আর সংক্রমণের উল্লম্ফন দেখা যায় ৫ জানুয়ারি। সেদিন সংক্রমণের হার ছিল ৩.১৪ ভাগ। ৬ জানুয়ারি সংক্রমণের হার ছিল ২.৮৮ শতাংশ। ওইদিন রোগী শনাক্ত হন ২২ জন; ৯৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। সর্বশেষ গত বছরের ২ অক্টোবর ২২ জন করোনা রোগীর তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ জন; এতে সংক্রমণের হার ছিল ১.৬১ ভাগ। সবশেষ শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘন্টায় ৫৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের হার ৩.০৯ ভাগ। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ১৪ জনই সিলেট জেলার, বাকিরা সুনামগঞ্জের।
করোনা সংক্রমণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, বিশ্বজুড়েই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। এ সময়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পরিধান করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার দিকে সবার মনোযোগী হওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত সিলেট বিভাগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ১৭৬ জনে দাঁড়িয়েছৈ। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৮৩ জনে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৮৩ জন।