২৫ জানুয়ারি ২০২২


অর্থ জোগানদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা, অনশন ভাঙ্গছেন শিক্ষার্থীরা

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরণ অনশনের ১৪৭ ঘণ্টা পার হয়েছে। ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত না আসায় অনশনকারীরা তাদের অনশন ভাঙতে পারেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজন মুখপাত্র। মামলার আসামীরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।

মঙ্গলবার রাতে জালালাবাদ থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১১। পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আন্দোলনকারীদের মধ্যে মুহাইমিনুল বাসার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনের ১৩ দিন চলছে, অনশনের চলছে সপ্তম দিন। অনশনের ১৪৭ ঘণ্টা পার হলেও কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই আমরা আমাদের সহপাঠীদের মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে তাদের অনশন ভাঙাতে চেষ্টা করছি। তবে যতদিন উপাচার্য পদত্যাগ করবে না ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো বলে শপথ নিয়েছি।

জানাযায়, গত দু’দিন ঢাকায় শাবিপ্রবি’র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি।

এদিকে, বর্তমানে অনশনরত ২৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৯ জন সিলেটের ৩টি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ৯ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে পারিবারিক কারণে একজন বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে এখনো পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ জানুয়ারি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।

পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের ওপর লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

শেয়ার করুন