৩১ জানুয়ারি ২০২২


বৃষ্টিতে কাদা, রোদে-ধুলায় সাদা

শেয়ার করুন

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সবচেয়ে বৃহত্তর ও জনগুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে হাদারপার (উপরগ্রাম) বাজার। যে বাজারকে ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়ন প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। এই রাস্তা দিয়ে বিছানাকান্দি পর্যটনে হাজার লোকের যতায়াত। কিন্তু পরিতাপের বিষয় দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার সংস্কার কাজ না হওয়ায় ও সঠিক পানিনিষ্কাশন ব্যবস্হা না থাকার কারনে সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সহ বেহাল দশা হয় এই রাস্তার। হাদারপার বাজার ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। রাস্তার এই দুরবস্থার জন্য ব্যবসায়ী ও পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার সিসি ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা আর পানি মিলে একাকার হয়ে যায়। এতে বোঝার কোনো উপায় থাকে না কোথায় খানখন্দ আর কোথায় সমতল। অন্যদিকে রোদ উঠলেই বাতাসে ধুলাবালি উড়ে চোখ-মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। নিশ্বাসের সাথে ধুলাবালি নাক দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। দোকানপাট গুলোতে ধুলোবালির সাদা আবরণে একাকার হয়ে যায়। সামান্য বৃষ্টিতে কাদামাটির কারণে হাটার কোনো অবস্থা থাকে না। ময়লা পানির জমাটবদ্ধ থাকার কারনে চরম দূর্গন্ধ দেখা দেয় পুরো রাস্তা । যার ফলে হাদারপার বাজারে যেমন মশার উপদ্রব বাড়ছে ,বেড়েছে মানুষদের ভোগান্তি।

স্থানীয় দোকানদার রনি বলেন, এই রাস্তায় কাদা থাকার কারনে মানুষ বাজার আসতে চায় না, ট্রাক চলাচলের কারণে পিচপাথর উঠে জায়গায় জায়গায় গর্ত হয়ে আছে। তারমধ্যে একটু বৃষ্টি আসলে সব ডুবে যায়। মানুষ শান্তি মতো চলাচল তো দূরের কথা, বাজারঘাটও ঠিকভাবে করতে পারে না। চা বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, এই র্দূগন্ধের কারনে রাস্তার পাশে কোনো ক্রেতা চা নাস্তাও করতে চান না, এতে ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে। বাজার ব্যবসায়ীরা আশা করছেন সরকারীভাবে ব্যবস্হা গ্রহন করে এই ভোগান্তির যেন স্হায়ী সুরহা করা হয়।

শেয়ার করুন