৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২


রায়হান হত্যাকান্ড : জামিন হয়নি এএসআই আশেক এলাহীর

শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট : বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি হেফাজতে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কারাবন্দী এএসআই আশেক এলাহীর জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর হয়েছে।

সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।

আশেক এলাহীর পক্ষের আইনজীবীরা আজ জামিন আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুর রহিম এক আদেশে জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এছাড়া পলাতক আসামি নোমানের মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না করায় আজ হয়নি শুনানি।

বাদিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি নোমানের মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ায় সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাটিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের আদালতে আজ শুনানি হয়নি। পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার এম এ ফজল চৌধুরী আরও বলেন, আজ চার্জশিটভুক্ত দ্বিতীয় আসামি বরখাস্ত হওয়া কারাবন্দী এএসআই আশেক এলাহীর জামিন আবেদন করেছিলেন বিবাদিপক্ষের আইনজীবী। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ বিচারক।

এর আগে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আশেক এলাহীর পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী। সেদিনও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন বিজ্ঞা আদালত।

জানা যায়, গত ২২ ডিসেম্বর রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলাম এ নির্দেশ দেন। ওই দিন বাদিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল জানান, আদালতের নির্দেশে পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি।

এমতাবস্থায়, তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে নোমান ছাড়া সবাই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

শেয়ার করুন