১ মার্চ ২০২২
ডেস্ক রিপোর্ট : নগরীর কোতোয়ালী থানার এলাকাধীন লালদিঘীরপাড় এলাকায় হোটেল সোনালী ও হোটেল ভাইভাই এ অবাধে চলছে যৌন ব্যবসা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বার বার বাঁধা দিলেও কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছেনা। আগামী ৪ মার্চ এই এলাকায় কালিঘাট শ্রমিক কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ওয়াজ মাহফিলের। এই এলাকায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এরকম অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে ওয়াজ মাহফিলের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন আয়োজকরা।
জানা যায়, নগরীর ব্যাবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র লালদিঘীরপাড়-কালিঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে হেটেল সোনালী ও হোটেল ভাই ভাই এ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে এ অনৈতিক কর্মকান্ড। ফলে বিনস্ট হচ্ছে এই এলাকার ব্যবসায়ীক পরিবেশ। বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ও লালদিঘীরপাড় এবং কালিঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা বার বার বারণ করা সত্বেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, পুলিশের নিম্ন শ্রেণীর কিছু অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই চলছে এই রঙ্গলিলা। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদেরকে যৌন ব্যবসায়ীদের স্থানীয় লাটিয়াল বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে হয়রানী করার ভয় দেখানো হয়। এজন্য এখন আর অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে সাহস পাননা।
এসএমপির ডিবি পুলিশ মাঝে মধ্যে এসব হোটেলে অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে আর নিয়মিত তদারকি থাকেনা। ফলে ‘যেই লাউ, সেই কদু’তে পরিণত হয়েছে। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে এসব অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হলেও ফাঁড়ি পুলিশের কাছে এবিষয়ে কোন তথ্য নেই বলে দাবী করা হয়েছে।সবশেষ গত ২০ জানুয়ারী রাতে হোটেল সোনালীতে অভিযান চালিয়ে ১২ নারী-পুরুষ আটক করে পুলিশ।
বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, এসব হেটেলের কারনে এই এলাকায় পরিবেশ বিনষ্ঠ হচ্ছে, পবিত্রতা রক্ষা করা যাচ্ছেনা। আমরা বার বার বলেও এটি বন্ধ করতে পারছিনা। এসব হোটেল নিয়ে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকাও রহস্যজনক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, এসব হোটেলের খদ্দেরদের উৎপাতের ফলে আমরা ঠিকমত ব্যবসা বাণিজ্যও পরিচালনা করতে পারছিনা। যারা এর সাথে জড়িত তারা খুবই প্রভাবশালী। সবাইকে ম্যানেজ করেই এই অসামাজিক কর্মযজ্ঞ চরছে।
ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেন, এসব হেটেলের কারনে এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। আগামী শুক্রবার আমাদের ওয়াজ মাহফিল রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন যদি ওয়াজ মাহফিলের আগেই এসব অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ না করে তবে আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এসএমপির বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাজেদুল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।