১৩ এপ্রিল ২০২২
আজকের সিলেট ডেস্ক : চৈত্রের শেষ দিন আজ। তাই সে বিদায় নেবে। কাল আসবে বৈশাখ। চৈত্র মাসের শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। এদিন বাংলা বর্ষেরও শেষ দিন। পরের দিন বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখ-নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯।
চৈত্র থেকে বর্ষার প্রারম্ভ পর্যন্ত সূর্যের যখন প্রচণ্ড উত্তাপ থাকে তখন সূর্যের তেজ প্রশমন ও বৃষ্টি লাভের আশায় কৃষিজীবী সমাজ বহু অতীতে চৈত্র সংক্রান্তির উদ্ভাবন করেছিলো। আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। কথিত আছে চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এতো আয়োজন। তাই চৈত্র সংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় উৎসব।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাংলা বছরের এই দিনটিকে পুণ্য দিন বলে মনে করেন। চৈত্র সংক্রান্তিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা স্নান, দান, ব্রত ও উপবাসের মধ্য দিয়ে পালন করেন।
বছর বিদায়ের উৎসব পালন করেন ব্যবসায়ীরাও। শুচি-শুদ্ধ হয়ে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নতুন করে সাজিয়ে তোলেন। আগের পুরোনো সব জঞ্জাল পরিষ্কার করেন। পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতা খোলেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে আয়োজন করেন হালখাতা অনুষ্ঠানের।
দেশের বিভিন্ন স্থানে চৈত্র সংক্রান্তির মেলা উপলক্ষে গৃহস্থরা মেয়ের জামাইকে দাওয়াত করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতি তো বহু আগের।
রাজধানীর তাঁতীবাজার, শাঁখারী বাজার, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার বা চক বাজারের মতো এলাকায় বছরের শেষ দিন ঘিরে চলবে নতুন আয়োজন। ধুপগন্ধে সুরভিত হবে, নতুন রঙ-ঢঙয়ে শোভিত হবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সারা দেশেই এই প্রস্তুতি রয়েছে। তবে পার্বত্য জেলাগুলোয় কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, নানা আয়োজন।
এর আগের দুইবছর করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পহেলা বৈশাখসহ সব ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিলো। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে কোনো অনুষ্ঠানও ছিলো না। তবে এবার অনেকটা করোনামুক্ত পরিবেশেই চৈত্র সংক্রান্তি এবং বাংলা নববর্ষ পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে গত দুই বছর নববর্ষের প্রথম প্রহরে রমনার বটমূলে ছায়ানটের কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। এবার ছায়ানটের অনুষ্ঠানসহ বর্ণিল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।