২০ জুন ২০২২


নগরীতে দ্রব্যমূল্যের দ্বিগুণ দাম,, অভিযানে ভোক্তা অধিদপ্তর

শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে চলমান ভয়াবহ বন্যায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট তৈরি হওয়ার সুযোগে নগরীসহ বিভিন্ন স্থানে কিছুসংখ্যক ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম ২-৫ গুণ বাড়িয়ে দিয়ে রীতিমতো ডাকাত রূপে আভির্ভূত হয়েছেন বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে মাত্রাতিরিক্ত দামেই অসহায় মানুষ অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

সোমবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এ তবে বিষয়ে অবগত হলে নগরীর কালিঘাটসহ বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করে ভোক্তা অধিকার সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের টিম। এসময় ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে নায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় অভিযান চালিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সাবধান করা হয়।

নগরীর শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, রোববার স্থানীয় একটি দোকান থেকে ৫ টাকার মোমবাতি ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা আমির আলী বলেন, চিন্তা করা যায়! স্থানীয় বাজারে আজ মুড়ির কেজি ১২০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

তবে এসব বিষয়ে ‘অবগত আছে’ বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ জানান, বন্যা পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে প্রচুর চাহিদা বেড়ে যাওয়া সিলেটে চিড়ার একটি অস্থায়ী সংকট তৈরি হয়েছে। তবে বাহিরের জেলা থেকে প্রচুর চিড়া আসছে। আজ-কালের মধ্যেই চিড়ার দাম কমে যাবে। তবে কেউ যদি চিড়াসহ জিনিসপত্রের দাম অতিরিক্ত নেয় তবে জরিমানা করা হবে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি এবং আজ (সোমবার) নগরীর কালিঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে বাজার মনিটরিং করেছি। এসময় আমরা ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে নায্য দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির আহ্বান জানিয়েছি।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার আমরা অভিযানে নামবো এবং যেখানেই অতিরিক্ত দামে এসব জিনিসপত্র বিক্রির সত্যতা পাবো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, গত বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়ে সিলেট। এক মাসের মাথায় হানা দেওয়া বন্যা ভয়াবহ রূপ নেয়। এবার বন্যাকবলিত হয় সিলেট মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকাসহ জেলার সবকটি উপজেলা। তলিয়ে যায় অনেকের পুরো ঘর-বাড়ি। নগরীর বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাসাবাড়িতে ছিলো কোমর সমান পানি। সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুতকেন্দ্র, শাহজালাল উপশহর উপকেন্দ্র ও বরাইকান্দি উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে প্রায় পুরো সিলেট। দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট। এ অবস্থায় সিলেটের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী মোমবাতি, চিড়া, মুড়ি, গুড়, চাল, আলু ও কয়েলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম ২ থেকে ৫ গুণ বাড়িয়ে দেন। অসহায় বন্যার্ত মানুষও বাধ্য হয়ে ‘ডাকাত রূপী’ এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাধ্য হয়ে এসব জিনিসপত্র কিনেন।

শেয়ার করুন