৯ জুলাই ২০২২


সুনামগঞ্জে পশুহাটে বন্যার প্রভাব

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনাগঞ্জে বন্যার প্রভাব পড়েছে পশুহাটে। রাত পোহালেই ঈদ, অথচ এখনো জমেনি হাটগুলো। মাঠভর্তি কোরবানির পশু থাকলেও নেই ক্রেতার দেখা। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারি ও গৃহস্থরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার ১১টি উপজেলায় স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে প্রায় শতাধিক পশুহাট বসেছে। এসব হাটে স্থানীয় কৃষক ও খামারিদের পালিত গরুই বেশি উঠেছে। তবে বন্যার প্রভাবে খামারি এবং কোরবানি গরু পালনকারীরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। কারণ, হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে কম। যদিও দাম নিয়ে ক্রেতাদের কোনো বাড়তি অভিযোগ নেই।

 

jagonews24

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, মাঠের কানায় কানায় ছোট থেকে শুরু করে সব ধরনের গরু ও ছাগলে ভরে উঠেছে। কিন্তু হাটে পশু থাকলে নেই ক্রেতাদের ভিড়। কয়েকজন আসছেন দাম করছেন আবার চলে যাচ্ছেন।

কৃষক ও খামারিরা জানান, বন্যার কারণে সুনামগঞ্জে এখনো পশুহাট জমে উঠেনি। অন্য বছর এ হাটে ক্রেতাদের ঢল নামতো। এ বছর দিন চলে যাচ্ছে কিন্তু ক্রেতার দেখা মিলছে না। যাও দু-একজন আসছেন তাদের সঙ্গে দামদরে মিলছে না। এখন গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।

সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ইজারাদার ওয়াসিম আহমদ বলেন, প্রশাসনের দেওয়া সব নিয়ম মেনেই পশুহাট পরিচালনা করছি। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পশু থাকলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। এজন্য বড় অঙ্কের টাকা লোকসান হতে পারে।

মাঠে গরু নিয়ে আসা আফজাল মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে সুনামগঞ্জের পশুহাটে গরু নিয়ে এসেছি। রাত পোহালেই ঈদ, অথচ এখন গরু বিক্রি করতে পারিনি। ১ লাখ টাকার গরু মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা দাম বলছে।’

হাটে গরু নিয়ে আসা তোফাজ্জল মিয়া বলেন, ‘চৈত্র মাসে টাকা ধার করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। একটি বড় গরু ছিল, কোরবানির ঈদে বিক্রি করে ঋণ শোধ করার ইচ্ছা ছিল। গরু নিয়ে হাটেও এসেছি কিন্তু ক্রেতা একবারে নেই। মাঝে মধ্যে যারা আসেন তাও দাম করে চলে যাচ্ছে। জানি না গরুটি বিক্রি করতে পারবো কি না।’

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, বন্যার কারণে এ বছর পশুহাটগুলো তেমন একটা জমেনি। আমরা হাট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাতে পশুহাট পরিচালনা করা হয়।

শেয়ার করুন