
১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারির এইদিনে বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ ছাত্র শহীদ হন। যাঁদের মধ্যে রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত উল্লেখযোগ্য। শহীদদের স্মরণে এ দিনটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ভাষা আন্দোলনে প্রায় ৭২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ফলে ওইসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। ফলে দিনদিন ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে তারা।
জানা গেছে, লাখাই উপজেলায় ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭২টি ও ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
প্রাথমিকে ৭২টির মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ১৮টির ও মাধ্যমিকের ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে ৭টিতে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বাকী ৫৮টি বিদ্যালয়ে এখনও শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি।
এদিকে, লাখাই উপজেলার একমাত্র সরকারি কলেজ ‘মুক্তিযোদ্ধা সরকারি ডিগ্রী কলেজ’।দুটি মাদরাসা রয়েছে। এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের কোনটিতেই নেই শহীদ মিনার।
লাখাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহমুদুল হক বলেন, আমাদের বাজেট স্বল্পতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার হয়নি। তবে কোন দাদা সদস্য যদি শহীদ মিনার দিতে চায় আমরা সাদরে গ্রহণ করব।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, তাদেরকে নিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন ও কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনার না থাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কিছু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে আলাপকালে তারা জানায় শহিদ দিবসে আমরা শ্রদ্ধা জানাতে পারে না।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি
