আইসিসির ওপর ক্ষুব্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৬

আইসিসির ওপর ক্ষুব্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪/০৩/২০২৪ ১০:৪০:২৩

আইসিসির ওপর ক্ষুব্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ


ক্রিকেট অঙ্গনে সময়গুলো ভালো যাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম দুই আসরের শিরোপাজয়ী দল ২০২৩ সালের ভারত বিশ্বকাপের আসরে খেলতেই পারেনি। কোয়ালিফায়ারে নেদারল্যান্ডসের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে হেরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায়নি তারা।

নেপথ্যে কারণটা অর্থের অভাব। যে কারণে, দলের বড় তারকাদের জাতীয় দলে খেলায় মন নেই। নিজেদের আর্থিক নিরাপত্তার সন্ধানে তাদের মনোযোগ বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলায়। এবার বোর্ডের অর্থাভাব নিয়ে প্রকাশ্যেই কথা বললেন প্রধান নির্বাহী ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের (সিডব্লুআই) জনি গ্রেভ।

একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বড় দলগুলো সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনো শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে না পারে।

উইজডেন ক্রিকেট মান্থলির পডকাস্টে ডেনিয়েল গ্যালানের সঙ্গে আলাপে গ্রেভ বলেন, সবাই একটা কথা খুব করে বলে যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দরকার। কিন্তু আমরা যেটা অনুভব করি, সেটা হচ্ছে, বিশ্ব ক্রিকেট তাদের সব রকম চেষ্টা করছে যাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কখনোই শক্তিশালী হতে না পারে।

ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, আইসিসি যদি শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলই চায়, তাহলে আমাদের কথা ভাবত। আইসিসি শুধু কাগজে–কলমেই আমাদের বেশি টাকা দিচ্ছে। কিন্তু আমাদের অর্থপ্রদানের হার কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত চক্রেও আমরা ৭ শতাংশ করে পেতাম, এখন সেটা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।

গত বছরের জুলাইয়ে ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪–২৭ চক্রে মোট ৬০ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের প্রাক্কলন করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ২৩ কোটি ১০ লাখ বা ৩৮.৫ শতাংশই পাবে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬.৮৯ শতাংশ পাবে ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগের অংশ ৪.৫৮ শতাংশ।

আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড ১০ শতাংশও পাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পাবে ৪.৪৬ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে যা ২ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা।

ক্যারিবীয় অঞ্চলের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করতে অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে উল্লেখ করে ক্রিকেট–সম্প্রদায়ের বৈষম্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন গ্রেভ, আমরা যদি সবাই শুধু নিজেদের দিকেই তাকাই, তাহলে কি এটা বলা যায় যে আমরা একটা কমিউনিটি হিসেবে কাজ করছি? আমরা কি মাঠে সেরা পণ্যটিই পাঠাচ্ছি?

আজকের সিলেট/বিবি/ডি/এসটি

সিলেটজুড়ে


মহানগর