জীবনের কোন না কোন সময়ে সব বয়সের মানুষেরই কাশি হয়ে থাকে। কাশি হলে বুঝে নিতে হবে এটা শ্বাস-প্রশ্বাস পথের কোন জায়গায় সমস্যার কারণে হচ্ছে। কাজেই বলা যায় কাশি কোন রোগ নয় এটা রোগের উপসর্গমাত্র। অধিকাংশ কাশি সাধারণত খারাপ কিছুর ইঙ্গিত করে না, কিন্তু কিছু কিছু কাশি, যা দীর্ঘদিন থাকে— তা মারাত্মক রোগের জানান দেয়।
কখন বলব কাশি ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের?
কাশি যদি ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে তাকে ক্রনিক কফ বা দীর্ঘদিনের কাশি হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
দীর্ঘদিনের কাশির কারণ
অতিরিক্ত ধুমপান
হাপাঁনি— কোন কোন হাঁপানিরোগী শুধুমাত্র কাশিই তার উপসর্গ হতে পারে। এদের দেখা যায় কাশি ভালোই হতে চায় না।
এলার্জিক রাইনাটিস বা সাইনাসের সমস্যা
শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ— নিউমোনিয়া, টিবি ওষুধের কারণেও কারো কারো কাশি হতে পারে।কিছু কিছু প্রেসার কমানোর ওষুধ দীর্ঘদিন খেলে এ সমস্যা হতে পারে।
কখন কাশি মারাত্মক কিছুর ইঙ্গিত দেয়?
- দীর্ঘদিন ধরে কাশি ও সঙ্গে যদি জ্বর থাকে।
- কাশির সঙ্গে যদি রক্ত যায়।
- কাশির সঙ্গে যদি মারাত্মক শ্বাসকষ্ঠ হয়।
- কাশির সঙ্গে বুকে ব্যথা হলে।
- কাশি ও শরীর শুকিয়ে গেলে।
কাশি প্রশমনে করণীয়
- শরীর যাতে পানিশূন্য না হয়, সেজন্য পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে হবে।
- গরম লবণ-পানি দিয়ে কুলি করা
- আদা-মিশ্রিত পানি খাওয়া।
- মধু খেলে কাশির মাত্রা কমে আসে
- কাশির সিরাপ হিসেবে— ডেক্রমিথোফেন ও সিওডোইফিড্রিন গ্রুপের সিরাপ খেতে পারেন।
আজকের সিলেট/বিএন/ডি/এসটি