![রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করুন](admin/images/postimages/news_image_51d57663439a025b7bc9cf28b9fd0e301710133585.jpg)
সময়ের বিবর্তনে বর্ষপঞ্জির আবর্তনে পবিত্র মাহে রমজান আবার আমাদের দোরগোড়ায় উপস্থিত। আহলান সাহলান মারহাবান, পবিত্র মাহে রমজানুল মোবারক। আজ চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আমরা পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানাচ্ছি।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ, তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, সম্ভবত তোমরা খোদাভীরু (তাকওয়াবান) হতে পারবে। রমজান হচ্ছে মুমিনদের তাকওয়াবান তথা মুত্তাকী হিসেবে তৈরি করার মাস। এ মাসে মুমিন মুসলমানগণ সারাদিন পানাহার ও স্ত্রী সান্নিধ্য থেকে বিরত থেকে ক্ষুৎপিপাসা বরণ করে নিজেকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসেবে তৈরি করে। পবিত্র রমজান মাসে মুমিনদের মধ্যে আল্লাহর নির্দেশ পালন করার জন্য অভ্যাস তৈরি হয়।
রমজান হচ্ছে মুসলমানদের প্রশিক্ষণের মাস। যে মাসে একজন মুসলিম আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং নিষেধ থেকে বিরত থাকার বাস্তব প্রশিক্ষণ লাভ করে। যে প্রশিক্ষণের আলোকে বাকি ১১টি মাসে পরিচালিত হবে। নিজের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ সমূহ পালন করবে আল্লাহর নিষেধ সমূহ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে- এটাই হচ্ছে রমজানের মূল শিক্ষা। একজন রোজাদার পানাহার বর্জনের মাধ্যমে সেই শিক্ষায়ই শিক্ষিত হয়ে থাকে।
আমরা আশা করব রমজানের এই শিক্ষাকে বাংলাদেশের সকল মুসলমানরা সঠিকভাবে গ্রহণ করবে। তারা রোজা পালনের ন্যায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশ সমূহ পালন করবে এবং নিষেধ সমূহ থেকে বিরত থাকবে। আর সে জন্য প্রথমত প্রয়োজন হচ্ছে রমজানের মাসকে পবিত্র মাস হিসেবে সম্মান করা।
রমজানের সুযোগে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করা। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে, মানুষকে জিম্মি করে আয়-উপার্জন না করা। রমজানের শিক্ষা হচ্ছে অশ্লীলতা বেহায়াপনা থেকে দূরে থাকা।
রমজানের শিক্ষা হচ্ছে মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা। পরের হক না খাওয়া। সমাজের বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। দুস্থদের সেবা করা। আত্মীয়স্বজনের মধ্যে দরিদ্র থাকলে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। রমজানের শিক্ষা হচ্ছে বেশি বেশি দিনের বেলা অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ কোরআন তেলাওয়াত করা, এবং কোরআনের মর্মবাণী উপলব্ধি করা। রাতের গভীরে আল্লাহর এবাদত করা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সঙ্গে তারাবির নামাজ আদায় করা, তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতের জন্য দোয়া করা।
বর্তমান বিশ্বে যাতে আল্লাহ শান্তি মানবজাতির জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা বিধান করেন, গজব থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেন বিশেষ করে মুসলমানদেরকে করোনার মত খোদায়ী গজব থেকে হেফাজত করেন, সেজন্য রোজাদাররা প্রতিদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। পবিত্র মাহে রমজানে আমরা সবাই রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করবো। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের জন্য এবং দেশের জন্য আল্লাহর রহমত বরকত লাভের জন্য দোয়া করবো।
আল্লাহ যেন এই রমজানের উসিলায় আমাদের গুনাহ মাফ করেন এবং আমাদের সবাইকে সকল রকম বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করেন। আমীন
সম্পাদকীয়
![](images/815348925c82a3a2091a9195985da1fe.gif)