সিলেটে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে নগরের অনেক বাসা-বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গেছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শিলার ওজন ছিল প্রায় আধা কেজি। বৃষ্টির সময় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রোববার রাতে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।
সিলেটের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রচণ্ড শব্দে মনে হয়েছিল ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যাচ্ছে। এ রকম বড় শিলাবৃষ্টি আগে কখনো দেখেননি।
সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা রফিক বলেন, ঝড়ের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ আমার সামনে বড় একটি শিল পড়ে। বৃষ্টি কমার পর হাতে নিয়ে অনুমান করি, ওজন হবে আধা কেজি।
এদিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় পার্কিং করে রাখা প্রাইভেটকারে শিলা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িটির পেছনে কাচ ভেঙে গেছে। এই প্রাইভেটকারটি সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য সুভাষ দাসের।
নগরীর মিরবক্সটুলা এলাকার বাসিন্দা নাহিদ আহমদ বলেন, ঝড়ের সাথে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার গাড়ির গ্লাসের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
নগরের লালাদিঘির পার এলাকার ফার্মেসী ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সুমন বলেন, আমি ফার্মেসিতে বসে ছিলাম। কালবৈশাখি ঝড়ের সময় অনেক বৃহদাকার সাইজের শিলা পড়েছিল। আমি কখনো এতো বড় আকারের শিলা দেখিনি।
সদর উপজেলার বাসিন্দা সংবাদকর্মী মতিউর রহমান বলেন, শিলাবৃষ্টিতে আমার ঘরের নতুন টিনের ক্ষতি হয়েছে। প্রচণ্ড গতিতে ওপর থেকে পড়া এসব শিলা আমার ঘরের টিন ভেদ করে ঘরে প্রবেশ করে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, বছরের এই সময়ে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিকে কালবৈশাখী বলা হয়ে থাকে। কালবৈশাখীতে শিলাবৃষ্টি হয়।
আজকের সিলেট/ডি/এসটি